ফজরের নামাজ পড়াতে বের হয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরে পিকআপভ্যান-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের
মধুপুর বনাঞ্চলের বড়বাইদ এতিমখানার কাছেই এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন - শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার শালুচুড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে হাফেজ হাবিবুর রহমান (২০) ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মুরাদপট্টি চৌহালীপাড়া গ্রামের শহিদুল সিকদারের ছেলে হাফেজ হাসান সিবাজী(১৮)।
তারা বড়বাইদ এতিমখানার জামিয়া ইসলামিয়া সৈয়দ আহমাদিয়া দাওরায়ে হাদিস মাদরাসার শিক্ষার্থী। হাফেজ হািববুর রহমান ৬ মাস আগে বিয়ে করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল যোগে মাদরাসা থেকে বের হয়েই টাঙ্গাইলমুখী (মধুপুরের দিকে) অগ্রসর হতে গেলে বিপরীতমুখী পিকআপভ্যানের( ঢাকা মেট্রো ন- ২০-৯৩১৪) সাথে সংঘর্ষ হয়।
মোটরসাইকেল দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে পিকআপভ্যান রাস্তা থেকে বনের ভিতরে ঢুকে যায়। এসময় পিকআপভ্যানে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে মধুপুর ফায়ার স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদরাসার সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম তকীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,অধ্যয়নের ফাঁকে তারা দুইজন পড়াশোনা খরচের অর্থ যোগারে জন্য অন্তত ৪ কি.মি দূরে কাকরাইদ এলাকার একটি মসজিদে যথাক্রমে ইমামতি ও মোয়াজ্জিনের চাকরি করেন। ফজরের নামাজ পড়ানোর জন্য মাদরাসা থেকে বের হয়ে এ ঘটনা শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এমরানুল কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে দুপুরে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহতদের পরিবারের সদস্যণকে সমবেদনা জানিয়েছেন। জোহরের নামাজ শেষে মাদরাসায় নিহতের জন্য প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদের লাশ নিজ নিজ এলাকায় নিয়ে দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে দাফন করা হয়েছে।