মোবাইলে কিশোর প্রেম এবং পরে অভিভাবক ম্যানেজে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের ৬ মাস কাটতে না কাটতেই অঘটনে সেই কিশোর প্রেমের করুণ পরিণতি হয়েছে।
স্বামীর বাড়িতে কিশোরী ওই বধুর রহস্যজনক মৃত্যুতে অপরিপক্ক প্রেমেরে এমন পরিণতি। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পোদ্দারবাড়ী (গোপিনাথপুর) গ্রামের কিশোর স্বামী আমিনুরের বাড়িতে ঘটেছে এমন ঘটনা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে মোমেনি আক্তার (১৫) নামের ওই কিশোরী বধূর লাশ উদ্ধার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। টাঙ্গাইল সদরের করটিয়া ইউনিয়নের বীর কুইশা গ্রামের মৃত জনৈক আবু বক্করের মেয়ে এই মোমেনি আক্তার। স্বামী অটোচালক আমিনুল ইসলাম (১৯) একই জেলার মধুপুর উপজেলার পোদ্দারবাড়ী (গোপিনাথপুর) গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
এ ঘটনায় মোমেনির মা রেহেনা বেগম বাদী হয়ে থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করলে পুলিশ আমিনুরকে আটক করেছে।
মধুপুর থানার ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদ জানান, আমিনুর টাঙ্গাইল শহরে একটি ফুচকার দোকানের সহকারীর কাজ করতো। ওই সময় মোমেনির সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে পারিবারিক নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে কিশোর প্রেমটি বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। রহস্যজনক কারণে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।
মোমেনির ভগ্নিপতি আক্তার হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া জন্মসনদে দেখা যায়, মোমেনির জন্ম ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর। এখন বয়স ১৫ বছর। আমিনুরের জন্ম ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
তিনি জানান, মোমেনির সাথে আমিনুরের প্রেম কেউ মেনে নিতে চায়নি। বাধ্য হয়ে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পরিবার রাজি হয়। কিন্তু সুখের পরিবর্তে মোমেনি কষ্টের মধ্যে ছিল।
তাদের অভিযোগ- মোমেনিকে মেরে ঝুলিয়ে আত্নহত্যার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু ফাঁসিতে আত্নহত্যার আলমত দেখা যায়নি। ঘরের পরিবেশ ছিল অগোছালো। সঠিক তদন্ত ও দোষীর শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
এ দিকে আমিনুরের পরিবার থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি- মোমেনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। তিনদিন যাবৎ গোসল না করা এবং ঠিকমত খাওয়া ধাওয়া না করায় শুক্রবার একটু শাসন করা হয়েছিল স্বীকার করে আমিনুরও হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আইনী প্রক্রিয়া চলছে।