মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। নিজের প্রতি নজর না থাকলেও সামর্থ্যের চাইতে বেশি মানুষকে দেয়ার মানসিকতা ছিল তার। তার করা কাগজের সংবাদে ছিল সাহসের দৃষ্টান্ত। বনাঞ্চলের এ জনপদ মধুপুর ও মধুপুরের সাংবাদিকতায় একে অপরেরর পরিপূরক ছিল যে নাম তিনি সাংবাদিক এম এ রউফ। এমন সব মন্তব্য করে বক্তাগণ বক্তৃতা করছিলেন শোকসভার এক অনুষ্ঠানে। মধুপুর থেকে সদ্য যাত্রা শুরু করা অনলাইন নিউজ পোর্টাল শালবনবার্তা২৪.কম এর আয়োজনে নাগরিক শোকসভায় আমন্ত্রিত অতিথিগণ এসব মন্তব্য করে বক্তৃতা করেন। সম্প্রতি প্রয়াত মধুপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক এম এ রউফের স্মরণে নাগরিক এ শোকসভা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধুপুর ক্লাবের তৃতীয় তলায় চারুশীলন ইনস্টিটিউট এন্ড টেকনোলজির হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রয়াত সাংবাদিক এম এ রউফের বন্ধু রাজনীতিক জাকির হোসেন সরকার এতে সভাপতিত্ব করেন।
নিউজ পোর্টাল শালবনবার্তা২৪.কম এর সম্পাদক সাংবাদিক এস.এম শহীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ এবং মধুপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বজলুর রশিদ খান চুন্নু, উত্তর টাঙ্গাদের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক ইত্তেফাকের ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, বৈষম্য বিবোধী আন্দোলনের নেতা এনসিপি মধুপুরের কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মী সবুজ মিয়া,ময়মনসিংহের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন তরফদার, সিলেটের গুরুসদয় কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেলাল হোসেন, প্রয়াত সাংবাদিকএমএ রউফের ছোট দুই ভাই জহির উদ্দিন, আব্দুল লতিফ, মধুপুর প্রেসক্লাবের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সম্পাদক আলকামা শিকদার, সাবেক শিক্ষক দীপক কর্মকার, মধুপুর শহীদ কোচিং এর পরিচালক মো.,শহীদুল ইসলাম,ব্যবসায়ী নিমাই চন্দ্র দে, ছাত্রনেতা রোমান শোকসভায স্মৃতিচারণ মূলক বক্তৃতা করেন।
বক্তাগণ গণমাধ্যমকর্মীদেরকে নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় প্রয়াত এমএ রউফের আদর্শ অনুসরণ করার মাধ্যমে তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানাতে আহবান জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রয়াতের আত্নার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালিত হয়।