ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষাবোর্ড

এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ ২০৮ বার পড়া হয়েছে

আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এক মাস পেছানোর দাবি জানায় একদল শিক্ষার্থী। এই দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় তারা। তবে তাদের এ দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মনে করেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে জুন মাসের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তাই চাইলেও পরীক্ষার পেছানো সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার‌ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে পরীক্ষার সব প্রস্তুতি শেষ। সকল কেন্দ্রে পরীক্ষার সরঞ্জামাদি পাঠানো শেষ। এই মুহূর্তে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

‘পরীক্ষা পেছানোর যেসব দাবি করেছে সেগুলোর কোনোটারই যৌক্তিকতা নেই। তাদের এসব দাবি আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।’

এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার‌ বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে প্রায় সব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার পক্ষে। শিক্ষার্থী নামধারী কিছু কিছু ব্যক্তি ফেসবুকের মাধ্যমে পরীক্ষা পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে।

সব পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এসব গুজবে কান না দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান এ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ১০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে সে ঘোষণা আরও ৮-৯ মাস আগে দেওয়া হয়। সে মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি গ্রহণ করে। পরীক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগে পরীক্ষার পেছানোর দাবি শুধু অযৌক্তিক নয় এটা পরীক্ষা বানচালেরও ষড়যন্ত্র।

তারা আরও বলেন, দেশে বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ বা অস্থিরতা তৈরি না হলে সাধারণত পরীক্ষার পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে পরীক্ষা পেছানোসহ দুই দফা দাবি তুলে ধরেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের দাবিগুলো হলো- পরীক্ষা এক মাস পেছানো এবং সব পরীক্ষায় ৩ থেকে ৪ দিন বন্ধ দেওয়া।

তারা দাবির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, রমজান মাসে রোজা রেখে ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া ঈদের পরপরই পরীক্ষা হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এক মাস সময় দিলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

শিক্ষাবোর্ড

এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এক মাস পেছানোর দাবি জানায় একদল শিক্ষার্থী। এই দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় তারা। তবে তাদের এ দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মনে করেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে জুন মাসের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তাই চাইলেও পরীক্ষার পেছানো সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার‌ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে পরীক্ষার সব প্রস্তুতি শেষ। সকল কেন্দ্রে পরীক্ষার সরঞ্জামাদি পাঠানো শেষ। এই মুহূর্তে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

‘পরীক্ষা পেছানোর যেসব দাবি করেছে সেগুলোর কোনোটারই যৌক্তিকতা নেই। তাদের এসব দাবি আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।’

এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার‌ বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে প্রায় সব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার পক্ষে। শিক্ষার্থী নামধারী কিছু কিছু ব্যক্তি ফেসবুকের মাধ্যমে পরীক্ষা পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে।

সব পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এসব গুজবে কান না দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান এ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ১০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে সে ঘোষণা আরও ৮-৯ মাস আগে দেওয়া হয়। সে মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি গ্রহণ করে। পরীক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগে পরীক্ষার পেছানোর দাবি শুধু অযৌক্তিক নয় এটা পরীক্ষা বানচালেরও ষড়যন্ত্র।

তারা আরও বলেন, দেশে বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ বা অস্থিরতা তৈরি না হলে সাধারণত পরীক্ষার পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে পরীক্ষা পেছানোসহ দুই দফা দাবি তুলে ধরেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের দাবিগুলো হলো- পরীক্ষা এক মাস পেছানো এবং সব পরীক্ষায় ৩ থেকে ৪ দিন বন্ধ দেওয়া।

তারা দাবির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, রমজান মাসে রোজা রেখে ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া ঈদের পরপরই পরীক্ষা হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এক মাস সময় দিলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর