ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধুপুরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের বৈশাখী আড্ডা

মধুপুর করেসপন্ডেন্ট শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ১১:২২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ২০৩ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যুগান্তরের স্বজন সমাবেশ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী আড্ডায় সমবেত হয়েছিল। স্বজন সমাবেশের এ আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন স্বজন সংগঠনের ভিতর বাইরেরসহ শুভনুধ্যায়ী অনেকেই।
সোমবার দুপুরে মধুপুর পৌর শহরের ময়মনসিংহ রোডের লিউ সাকি ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের কফি আড্ডায় এ বৈশাখী আড্ডার আয়োজন করে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী পাঠক সংগঠনটি।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্বজন সমাবেশের মধুপুর উপজেলা কমিটির আহবায়ক হুমায়ুন কবির।
আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন দৈনিক যুগান্তরের মধুপুর ও ধানবাড়ী প্রতিনিধ সাংবাদিক এস. এম শহীদ, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা সবুজ মিয়া, ব্যবসায়ী মোন্তাজ আলী সরকার, এরশাদ হোসেন রাশেদ, রোভার স্কাউট আন্দোলনের মারুফ।

আড্ডার আলোচনার বিষয়বস্তু নির্ধারিত না থাকলেও মধুপুর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় উঠে এসেছিল অংশগ্রহণকারীদের কথনে। স্থানীয় পরিবেশ, মরে যাওযার দিকে ধাবিত বংশাই নদ, মধুপুরের বন, রাজনীতি,তারুণ্য শক্তি, মানবতা, ধর্ম এবং গাজায় মানবাধিকার সংকটের বিষয়টি বাদ যায়নি। উঠে এসেছে বাঙালি সংস্কৃতিতে বৈশাখ যুক্ত হওয়ার ইতিহাস এবং যাঁদের ভূমিকা এক্ষেত্র অগ্রগণ্য। সম্রাট আকবর, আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজী, সম্রাট শাহজাহান, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় আড্ডায়। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে মধুপুরের আনন্দমঠ, ফকির -সন্ন্যাস বিদ্রোহের ইতিহাস বাদ যায়নি আড্ডার আলোচনা থেকে প্রাসঙ্গিক ছিল জুলাই আন্দোলনও । উঠে এসেছে ১৯৭১ সালের এই আজকের দিনে মধুপুরের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের কথা। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পাকিস্তান বাহিনীকে ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ)প্রতিরোধ করেছিলেন। এই প্রতিরোধ যুদ্ধে পাঁচজন বেসামরিক মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। আড়াই ঘন্টা ব্যাপী এ আলোচনা চলে।
এসব আলোচনা থেকে অনেক সমৃদ্ধ হওয়া যায় এমন কথাও বলেছেন অনেকে। এসব আড্ডা অব্যাহত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তারা।
মানবতার সেবায় আগামী দিনগুলোতে স্বজন সমাবেশ সমানতালে কাজ করে যাবে এমন প্রতিশ্রুতি বক্তব্যে তুলে ধরেছেন স্বজন সমাবেশের সদস্যরা। স্বজন সমাবেশের আড্ডায় যুগ্ম আহবায়ক মোমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব সবুজ আহাম্মেদ,সদস্য খন্দকার বদিউজ্জামান বুলবুল,বৃষ্টি কর্মকার,তাসফিয়া জাহান, আফজাল হোসেন,ইকরামুল হক, আশরাফুল ইসলাম মারুফ উপস্থিত ছিলেন।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

মধুপুরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের বৈশাখী আড্ডা

আপডেট সময় : ১১:২২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যুগান্তরের স্বজন সমাবেশ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী আড্ডায় সমবেত হয়েছিল। স্বজন সমাবেশের এ আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন স্বজন সংগঠনের ভিতর বাইরেরসহ শুভনুধ্যায়ী অনেকেই।
সোমবার দুপুরে মধুপুর পৌর শহরের ময়মনসিংহ রোডের লিউ সাকি ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের কফি আড্ডায় এ বৈশাখী আড্ডার আয়োজন করে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী পাঠক সংগঠনটি।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্বজন সমাবেশের মধুপুর উপজেলা কমিটির আহবায়ক হুমায়ুন কবির।
আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন দৈনিক যুগান্তরের মধুপুর ও ধানবাড়ী প্রতিনিধ সাংবাদিক এস. এম শহীদ, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা সবুজ মিয়া, ব্যবসায়ী মোন্তাজ আলী সরকার, এরশাদ হোসেন রাশেদ, রোভার স্কাউট আন্দোলনের মারুফ।

আড্ডার আলোচনার বিষয়বস্তু নির্ধারিত না থাকলেও মধুপুর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় উঠে এসেছিল অংশগ্রহণকারীদের কথনে। স্থানীয় পরিবেশ, মরে যাওযার দিকে ধাবিত বংশাই নদ, মধুপুরের বন, রাজনীতি,তারুণ্য শক্তি, মানবতা, ধর্ম এবং গাজায় মানবাধিকার সংকটের বিষয়টি বাদ যায়নি। উঠে এসেছে বাঙালি সংস্কৃতিতে বৈশাখ যুক্ত হওয়ার ইতিহাস এবং যাঁদের ভূমিকা এক্ষেত্র অগ্রগণ্য। সম্রাট আকবর, আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজী, সম্রাট শাহজাহান, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় আড্ডায়। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে মধুপুরের আনন্দমঠ, ফকির -সন্ন্যাস বিদ্রোহের ইতিহাস বাদ যায়নি আড্ডার আলোচনা থেকে প্রাসঙ্গিক ছিল জুলাই আন্দোলনও । উঠে এসেছে ১৯৭১ সালের এই আজকের দিনে মধুপুরের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের কথা। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পাকিস্তান বাহিনীকে ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ)প্রতিরোধ করেছিলেন। এই প্রতিরোধ যুদ্ধে পাঁচজন বেসামরিক মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। আড়াই ঘন্টা ব্যাপী এ আলোচনা চলে।
এসব আলোচনা থেকে অনেক সমৃদ্ধ হওয়া যায় এমন কথাও বলেছেন অনেকে। এসব আড্ডা অব্যাহত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তারা।
মানবতার সেবায় আগামী দিনগুলোতে স্বজন সমাবেশ সমানতালে কাজ করে যাবে এমন প্রতিশ্রুতি বক্তব্যে তুলে ধরেছেন স্বজন সমাবেশের সদস্যরা। স্বজন সমাবেশের আড্ডায় যুগ্ম আহবায়ক মোমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব সবুজ আহাম্মেদ,সদস্য খন্দকার বদিউজ্জামান বুলবুল,বৃষ্টি কর্মকার,তাসফিয়া জাহান, আফজাল হোসেন,ইকরামুল হক, আশরাফুল ইসলাম মারুফ উপস্থিত ছিলেন।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর