আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ
মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় কর্মশালা

- আপডেট সময় : ১০:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে

দেশের সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ভাষা ও সংস্কৃতি সুরক্ষার অঙ্গীকার ও কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। করা হয়েছে।
সোমবার মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ বিএডিসি প্রশিক্ষণ ইন্সস্টিটিউট মিলনায়তনে দিনব্যাপি এ কর্মশালার আয়োজন করে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইন্সষ্টিটিউট। মূলত মধুপুর বনাঞ্চলসহ সমতল ও পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাসকারী গারো ও কোচ ভাষা বিলুপ্তির কারণ নির্ণয় এবং বিলুপ্তি ঠেকানোর উপায় বের করতে মেন কর্মশালার আয়োজন।
‘মধুপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বিলুপ্ত প্রায় ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইন্সস্টিটউটের অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাষা ইন্সষ্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
গারো ও কোচ ভাষা বিলুপ্তির কারণ নিয়ে গবেষণা ধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কালাচারাল এন্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক বাঁধন আরেং, সোস্যাল এশটিভিস্ট এবং কোচ নেতা গৌরাঙ্গ বর্মণ এবং গারো লিটারেচার সোসাইটির কর্মী লিয়াং রিছিল। উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ইন্সষ্টিটিউটের প্রশিক্ষক শেখ শামীম ইসলাম, ভাষা গবেষণা ও পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী, বিএডিসির ট্রেনিং ইন্সস্টিউিটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গারো নেতা ইউজিন নকরেক, গারো সোস্যাল এক্টিভিস্ট প্রবীণ চিশিম, গারো নারী সংগঠন আচিক মিচিক সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুলেখা ম্রং প্রমুখ।
গারো ও কোচ সম্প্রদায়ভ‚ক্ত নেতারা বলেন, বাংলা ভাষার ক্রমবর্ধমান চাপে এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তাদের ভাষা এখন বিলুপ্তির পথে। একটি ভাষা বিলুপ্তি মানে একটি জাতিগোষ্ঠির সংস্কৃতি রীতিনীতি ও জীবনদর্শনের বিলুপ্তি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বৈচিত্র্যময় ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ভাষার উন্নতি মানে জাতি গোষ্ঠি ও রাষ্ট্রের উন্নতি।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সস্টিটউটের অন্যতম কাজ হলো ক্ষুদ্র জাতিগুলোর ভাষা সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং এ সংক্রান্ত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের কাজ সফলতার সাথে পরিচালনা করা। তিনি উল্লেখ করেন, গারো ও কোচ জনগোষ্ঠির ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগ হিসাবে এমন কর্মশালার আয়োজন। তিনি এ কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্ববান জানান। ইনস্টিটিউটের কর্ম পরিধির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ভাষা বিষয়ক গবেষণার জন্য বৃত্তি চালু করেছে। ভাষা গবেষকরা সফলতার সাথে ভাষা নথিভ‚ক্তকরণ, বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংরক্ষণে কাজ করছেন। প্রতিশ্রুতি দিতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, গারো ও কোচ জনগোষ্ঠির কোন প্রতিষ্ঠান যদি ভাষা পুনরুদ্ধার, পুনর্জীবন বা সংরক্ষণ করতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাদেরকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করা হবে।
শালবনবার্তা২৪.কম/এআর