আজ, ৩ জুন ২০২৫, দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনটি পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, কারণ গত ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল সামরিক আইন জারি করে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেন। এর ফলে তাকে অভিশংসন করা হয় এবং এপ্রিল মাসে সাংবিধানিক আদালত তাকে পদচ্যুত করে।
🔹 প্রধান প্রার্থীরা:
• লি জে-মিয়ং (ডেমোক্রেটিক পার্টি): মানবাধিকার আইনজীবী ও সাবেক গিয়ংগি প্রদেশের গভর্নর। তিনি “জালসানিজম” নামে একটি নীতি প্রস্তাব করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে চার দিনের কর্মসপ্তাহ, অবসরের বয়স বৃদ্ধি, সার্বজনীন মৌলিক পরিষেবা এবং আইনপ্রণেতাদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থা।
• কিম মুন-সু (পিপল পাওয়ার পার্টি): সাবেক শ্রমমন্ত্রী ও গিয়ংগি প্রদেশের গভর্নর। তিনি অর্থনৈতিক উদারীকরণ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ওপর জোর দিচ্ছেন।
🔹 নির্বাচনের প্রেক্ষাপট:
এই নির্বাচনটি দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ইউন সুক ইয়লের সামরিক আইন জারি এবং পরবর্তী অভিশংসন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এখন জনগণ একটি নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করছে।
🔹 ভোটদান ও ফলাফল:
৪৪.৩৯ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ আগাম ভোট দিয়েছেন। আজ ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে এবং বিজয়ী প্রার্থী পরদিনই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, যা সাধারণত দুই মাসের ট্রানজিশন পিরিয়ডের ব্যতিক্রম।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া একটি নতুন পথে অগ্রসর হবে। গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অন্যান্য প্রবাসীদের মত বাংলাদেশী দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীরাও ভোটের ফলাফল এর দিকে তাকিয়ে আছেন । সকলের কামনা একজন বিদেশী কর্মী বান্ধব রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হোক ।
শালবনবার্তা২৪.কম/এসআই