টাঙ্গাইলের মধুপুরের নির্মাণ প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়নের বিরুদ্ধে শ্রমিক লীগের অনুসারীরা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৯ জুলাই (বুধবার) রাত আটায় উপজেলার পৌর শহরের
হোটেল আদিত্যের তিন তলায় সেমিনার কক্ষে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্মাণ প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়ন মধুপুর শাখার আহবায়ক মো. ময়েন উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার খুররম খান ইউসুজী প্রিন্স, নির্বাচন কমিশনার এম রতন হায়দার ও আহাদুল ইসলাম আদিত্য সরকার।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার খুররম খান ইউসুফজী প্রিন্স অভিযোগ করে বলেন, সুশৃঙ্খল এই শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরণের পায়তারা করছে। যাতে আগামী একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন কমিটি উপস্থাপন করতে না পারে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আমরা নির্বাচন কমিশন আপনাদের সকলের সহযোগিতা পেলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে কোন মূল্যেই হোক আপনাদের এ সংগঠন আপনাদের হাতেই তুলে দেয়া হবে। কোন ক্রমেই আর ঐ সৈরাচারের দোসরদের হাতে যেন সংগঠন না যায় তার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
সংগঠনের সকল সদস্যকে নিয়ে বর্ধিত এ সভায় মধুপুর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ চান মিয়া, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি মো. মোশারফ খান মুসা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা, প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আবদুল জলিল, জয়নাল আবেদীন, হান্নান সিকদার, আনোয়ার হোসেন ও আশরাফ হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বর্ধিত সভায় সংগঠনের প্রায় আটশতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সংগঠনের উপস্থিত সকল সদস্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নিকট একটি সুন্দর কমিটির আহবান জানিয়ে জোড়ালো দাবী উপস্থাপন করেন।
এ সময় বর্ধিত সভায় বক্তারা বিভিন্ন বক্তব্যর মাধ্যমে সকল সমস্যা তুলে ধরে জুলাই বিপ্লবে গণঅভ্যুত্থানের সময় নির্মাণ প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এই সময় শেখ হাসিনার সাথে স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দ এবং নির্মাণ প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির লোকজনও আত্মগোপনে চলে যায়। টাঙ্গাইলেরও অনেকেই আত্মগোপনে চলে যায়।
পরবর্তীতে সংগঠনের সদস্যরা তিন সদস্যের নির্বাচন কমিটি গঠন করেন। এই নির্বাচন কমিশন পুনরায় তফশীল ঘোষণা করলেও দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পরামর্শে নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
বর্তমানে সংগঠনের সদস্যদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সমস্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে টাঙ্গাইলের নির্মাণ প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ মধুপুরে শ্রমিক লীগের অনুসারীদের নিয়ে একটি পকেট কমিটি করেছে। আমরা ওই কমিটিকে অবৈধ কমিটি হিসেবে ঘোষণা করছি। একই সাথে টাঙ্গাইলের যে সকল নেতৃবৃন্দ এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য পকেট কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন তাদের এই কার্যক্রমেরও নিন্দা জানাচ্ছি।
শালবন/এআর