টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নের মোটেরবাজার থেকে সীমান্তবাজার পর্যন্ত রাস্তাটির উন্নয়নকাজ দীর্ঘদিন আগে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। প্রায় দুই বছর ধরে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকা এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে পুরো সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি কাদায় পরিণত হয়, ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কালভার্ট নির্মাণ করলেও দুই পাশ সমতল না করে উঁচু অবস্থায় রেখেছে। এতে প্রতিদিনই ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক, শিক্ষার্থী, রোগী ও অটোভ্যান চালকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তার পাশেই রয়েছে আউশনারা কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী এই রাস্তা ব্যবহার করে। স্থানীয় কৃষকেরা প্রতিদিন আনারসসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য এই সড়ক দিয়ে বাজারে নিয়ে যায়।
আনারস চাষি মো. এছাক বলেন, “কলেজের সামনে রাস্তায় যে বড় গর্তটি হয়েছে, তাতে এবার আনারস বাজারে নিতে খুব কষ্ট হয়েছে।”
ভ্যানচালক কবির জানান, “গর্ত আর প্রতিটি কালভার্টের সামনে উঁচু-নিচু থাকায় রোগী বা শিক্ষার্থী নিয়ে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, “বাজারে আনারস আনা-নেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিনই লোকসানের মুখে পড়ছি।”
এ বিষয়ে স্থানীয় যুবক মো. ইউসুব বলেন, “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে থাকতে পারে।”
সাব-ঠিকাদার মন্টু জানান, “বরাদ্দ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কাজের অগ্রগতি থমকে আছে।”
এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এই রাস্তার কার্পেটিং কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে জনদুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।