ঢাকা ১২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ মধুপুর মুক্ত দিবস

মধুপুর করেসপন্ডেন্ট শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ১০:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

আজ ১০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী-মধুপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখল থেকে উত্তর টাঙ্গাইলের মধুপুর ধনবাড়ীকে মুক্ত করেন। উত্তোলন করে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।এ অঞ্চলের মানুষ পায় মুক্তির স্বাদ।
১৯৭১ সালের মধ্য মার্চেই দেশকে শত্রুমুক্ত করতে ধনবাড়ী-মধুপুরের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন। এক মাসের মাথায় অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী মধুপুরে প্রবেশ করার আগে রেকি করে যায়। পরের দিন ১৪ এপ্রিল মধুপুরে পাকিস্তানি বাহিনী প্রবেশ করার চেষ্টা করে। কিন্তু মধুপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ প্রবেশ পথ মালাউড়ীতে তাদের আটকিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় তাদের সাথে গোলাগুলির যুদ্ধ চলে।পরাজিত হয়ে পাকিস্তানিরা পিছিয়ে যায়। যুদ্ধ শুরুর দিকে মধুপুরের এই প্রতিরোধ যুদ্ধ স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে অন্যতম। নয় মাস চলে যুদ্ধ। নয় মাসের যুদ্ধে এ অঞ্চলে আরো খন্ড যুদ্ধ হয়েছে। তবে মধুপুর -ফুলবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী রাঙামাটিয়ার যুদ্ধ ছিল সেরা যুদ্ধ। ত্যাগ ও মহান এই যুদ্ধ গুলোই দেশকে শত্রু মুক্ত করে বিজয়ের দিকে নিয়ে যায়।
বিজয়ের দ্বার প্রান্তে ৯ ডিসেম্বর জামালপুর এলাকা থেকে পাকিস্তান বাহিনী দলে দলে মধুপুরে প্রবেশ করে।মধুপুর দিয়ে তারা টাঙ্গাইলের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা অবধি টাঙ্গাইলের দিকে তাদের যাত্রা চলে। এরপর পাকিস্তানি বাহিনীর কোন সদস্যকে মধুপুরের মাটিতে দেখা যায়নি।অর্থাৎ ১০ ডিসেম্বর মধুপুর হানাদার মুক্ত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!

আজ মধুপুর মুক্ত দিবস

আপডেট সময় : ১০:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

আজ ১০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী-মধুপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখল থেকে উত্তর টাঙ্গাইলের মধুপুর ধনবাড়ীকে মুক্ত করেন। উত্তোলন করে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।এ অঞ্চলের মানুষ পায় মুক্তির স্বাদ।
১৯৭১ সালের মধ্য মার্চেই দেশকে শত্রুমুক্ত করতে ধনবাড়ী-মধুপুরের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন। এক মাসের মাথায় অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী মধুপুরে প্রবেশ করার আগে রেকি করে যায়। পরের দিন ১৪ এপ্রিল মধুপুরে পাকিস্তানি বাহিনী প্রবেশ করার চেষ্টা করে। কিন্তু মধুপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ প্রবেশ পথ মালাউড়ীতে তাদের আটকিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় তাদের সাথে গোলাগুলির যুদ্ধ চলে।পরাজিত হয়ে পাকিস্তানিরা পিছিয়ে যায়। যুদ্ধ শুরুর দিকে মধুপুরের এই প্রতিরোধ যুদ্ধ স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে অন্যতম। নয় মাস চলে যুদ্ধ। নয় মাসের যুদ্ধে এ অঞ্চলে আরো খন্ড যুদ্ধ হয়েছে। তবে মধুপুর -ফুলবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী রাঙামাটিয়ার যুদ্ধ ছিল সেরা যুদ্ধ। ত্যাগ ও মহান এই যুদ্ধ গুলোই দেশকে শত্রু মুক্ত করে বিজয়ের দিকে নিয়ে যায়।
বিজয়ের দ্বার প্রান্তে ৯ ডিসেম্বর জামালপুর এলাকা থেকে পাকিস্তান বাহিনী দলে দলে মধুপুরে প্রবেশ করে।মধুপুর দিয়ে তারা টাঙ্গাইলের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা অবধি টাঙ্গাইলের দিকে তাদের যাত্রা চলে। এরপর পাকিস্তানি বাহিনীর কোন সদস্যকে মধুপুরের মাটিতে দেখা যায়নি।অর্থাৎ ১০ ডিসেম্বর মধুপুর হানাদার মুক্ত হয়।