মধুপুরে প্রশাসনের অভিযানে তিন লক্ষাধিক ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা নিধন

- আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ ১২২ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা প্রশাসন হাট বাজার ও গ্রামের নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত বিদেশী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ ধ্বংস করেছে।
১৫ জুলাই মঙ্গলবার মধুপুর হাট ও কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের বিভিন্ন নার্সারিতে এ অভিযার পরিচালিত হয়। এ অভিযানসহ গত কয়েক দিনে তিন লক্ষাধিক চারা ধ্বংস করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জুবায়ের হোসেন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা। এসময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ ছাড়াও নার্সারি উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, সহসাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নার্সারি ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি প্রজাতির গাছ পরিবেশ ধ্বংসকারী। এসব গাছে পাতা ফুল ফল পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এ জন্য সম্প্রতি সরকার এ উভয় প্রজাতির গাছের চারা উৎপাদন, ক্রয় বিপণন ও পরিবহণ নিষিদ্ধ করেছে।
কৃষকরা জানান, না জেনে বৃক্ষ চারা চাষীরা চারা বাজারে তুলে ছিলেন। সেগুলো ধ্বংস করায় তারা বেশ বিপাকে পড়েছেন। ধার দেনা করে গড়ে তোলা নার্সারি ধ্বংস করায় নার্সারি মালিকরাও পড়েছেন বিপাকে। তারা প্রণোদনা বা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
কৃষিকর্মকর্তা রকিব আল রানা জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অভিযান চলছে। মঙ্গলবার মধুপুরের হাট বাজার ও নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত গাছের চারা ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এ অভিযানসহ
গত কয়েক দিনের অভিযানে তিন লক্ষাধিক নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, বন অধ্যুষিত ও সামাজিক
বনায়নের মধুপুরে সরকার নির্দেশিত এ অভিযান খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি চলমান প্রক্রিয়া। কৃষক যাতে পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সরকার সে দিকটা বিবেচনায় রেখেছে। পরিবেশ ও বন রক্ষায় সরকারের এ উদ্যোগ
বাস্তবায়নেসচেতন সকলকে এগিয়ে এসে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহবান করেছেন।
অভিযান পরিচালনার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রচার না করায় জনসচেতনা বাধাগ্রস্ত বা কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন জানান, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর আলাদা নোটিশ লাগে না। এটা সর্বজনবিদিত।