মধুপুর সার্কেলের তিন পুলিশ অফিসার জেলায় শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় স্থান করে পুরষ্কৃত
- আপডেট সময় : ০৪:০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ ০ বার পড়া হয়েছে

নিয়মিত দায়িত্ব পালন, অপরাধ দমন, মামলার রহস্য উদঘাটন এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন মধুপুর সার্কেলের তিন পুলিশ কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অক্টোবর মাসের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তাঁদের হাতে বিশেষ পুরস্কার তুলে দেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
পুরস্কৃত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আরিফুল ইসলাম, মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবির, অরণখোলা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ পাইন (নিরস্ত্র)।
টাঙ্গাইল জেলায় টানা পঞ্চম বারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্কেল নির্বাচিত হয়েছেন মধুপুর-ধনবাড়ী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম।
শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির। মাদকদ্রব্য উদ্ধার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার, নিয়মিত মামলা তদন্ত ও নিষ্পত্তি এবং সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্য শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) বিমল চন্দ পাইন দস্যুতা মামলার চার আসামীকে গ্রেপ্তার ও রহস্য উদঘাটন, নিয়মিত মামলা তদন্তে দক্ষতা প্রদর্শন এবং নিরলস কর্মতৎপরতার কারণে জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন।
এএসপি আরিফুল ইসলাম বলেন- “জেলার শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের টিমের সম্মিলিত পরিশ্রমের ফল। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তায় আমরা সর্বদা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”
ওসি এমরানুল কবির বলেন- “শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে স্বীকৃতি আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে। মাদক দমন, পরোয়ানা তামিল ও মামলা তদন্তে আমরা সবার সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
এসআই বিমল চন্দ পাইন বলেন- “জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হওয়া আমার জন্য এক বড় প্রাপ্তি। দস্যুতা মামলার তদন্তসহ প্রতিটি দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।”
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, সার্কেল কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন থানার ওসি ও বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সারা জেলার পুলিশ প্রশাসনে তাঁরা প্রশংসিত হয়েছেন।


















