মাদরাসায় ছাত্রী ভর্তি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪

- আপডেট সময় : ০৭:২০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে

জামালপুরের ইসলামপুর মহিলা মাদরাসায় ছাত্রী ভর্তি করানোকে কেন্দ্র করে দুই মাদরাসার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সন্ধ্যায় ইসলামপুর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আহতদের ৭ জনকে শেরপুর হাসপাতালে, ৬ জনকে জামালপুর হাসপাতালে ও ১ জনকে ময়মনসিংহ হাসপাতালসহ আরও প্রায় ১১জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- কড়ইতলা মন্ডলবাড়ীর ইসরাফিল মন্ডলের ছেলে কালাচান মন্ডল (৫০), শামছুল মন্ডললের ছেলে আশরাফ আলী (৫৫), শাহাদত হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০), দানেশ মন্ডলের ছেলে মুকুল মন্ডল (২৬), হাবু মন্ডলের ছেলে আলম মন্ডল (৫৫), আশরাফ মন্ডলের ছেলে হারুন মন্ডল (২৬) ও আলম মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৬) । এদের শেরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই এলাকার রফিকুল মন্ডলের ছেলে রিফাত মন্ডলকে (২২) গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ওই এলাকার শেখবাড়ীর আহতরা হলেন- শাজাহান শেখের ছেলে মো. রমজান শেখ (২৮), মৃত জুল হাবেসের ছেলে জয়নাল আবেদিন (৫৫), মৃত আব্দুল রফিকের ছেলে রাজু শেখ (৪৭), আব্দুল খালেকের ছেলে মো. রাফাছ শেখ (৪০), মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে জিন্নত শেখ (৫০) ও কছম উদ্দিনের ছেলে মো. রিয়াজল হক (৬০)। এদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার রাতে কড়ইতলা এলাকার সুলতান হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক মো. উবাইদুল হক পার্শ্ববর্তী রাবেয়া বসরী মহিলা মাদরাসার একজন ছাত্রীকে তাদের মাদরাসায় ভর্তি করানোর উদ্দেশ্যে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে অভিভাবককের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় রাবেয়া বসরী মহিলা মাদরাসার শিক্ষক মো. মফিজুর রহমান ওই ছাত্রীর বাড়িতে গেলে দুই শিক্ষকের মাধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। দুই শিক্ষকের বিয়ষটি মীমাংসা করার জন্য রোববার সকালে কড়ইতলা এলাকায় বৈঠক বসে। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই শিক্ষকের অনুসারী মন্ডলবাড়ী ও শেখবাড়ীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুই পক্ষের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতলে ভর্তি করে।
আহত রিয়াজুল হক বলেন, সকালে দুই পক্ষের লোকজন মীমাংসার জন্য বসছিল। হঠাৎ করে তারা উত্তেজিত হয়ে মারামারি শুরু করে। আমি ছাড়াইতে গেছি আমার মাথায় আঘাত করছে। পরে কি হইছে আর বলতে পারি না।
ইসলামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ শালবনবার্তা২৪.কমকে জানান, মহিলা মাদরাসায় ছাত্রী ভর্তি করানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শালবনবার্তা২৪.কম/এআর