ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তঃজেলা নারী চক্র স্বক্রিয়

মধুপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণকালে স্বর্ণালংকার চুড়ির হিড়িক, আটক এক

মধুপুর করেসপন্ডেন্ট শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্টকার্ড বিতরণকালে কার্ড গ্রহণকারী নারী নাগরিকদের স্বর্ণালংকার চুরির হিড়িক পড়েছে। চুরির দায়ে চক্রের মরিয়ম (৩৫) নামের এক নারীকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

ঘটনাটি ঘটেছে মধুপুরের মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা মাদ্রাসা মাঠে। আটককৃত মরিয়ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের শিশু মিয়ার স্ত্রী।

বুধবার রাতে মধুপুর থানায় মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা মাদ্রাসার মাঠে দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মামলা হয়েছে। স্বর্ণালংকার খোয়ানো ওই গ্রামের শিরিন নামের এক নারী আটককৃত নারীসহ আরও অজ্ঞাত ৪/৫ নারীর নামে বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় এলাকার তাহমিনা, রাশিদা বেগম, রমিছা বেগম, আশা, মনিরা ও কমলা রাণীসহ ৭/৮ নারীর স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার মূল্য পাঁচ লাখ  টাকার ওপরে।

মহিষমারা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মুসলিম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার থেকে এই ইউনিয়নের নাগরিকদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ হয়েছে। দুই দিনে মহিষমারা ইউনিয়নে স্মাটকার্ড বিতরণকালে ৭ নারীর চার ভরির অধিক স্বর্ণলংকার খোয়া যায়। খোয়া যায় ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য তাহমিনা আক্তারের চেইন। এ নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। চেইন খোয়া যাওয়ার সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালানো শুরু হয়। ভীড়ের মধ্যে সন্দেহজনক ও অপরিচিত মহিলার গতিবিধি পর্যালোচনায় অবশেষে ধরা পড়ে। তাকে চ্যালেঞ্জ করে আটক করা হলেই বের হয়ে আসে আসল কাহিনী। এলাকার নারীরা উত্তম মধ্যম দেওয়া শুরু করলে মরিয়ম প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে তাকে থানায় দিয়ে দেওয়া হয়।

সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার তারিকুল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্র ফেরত চাইলে ওই নারী অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে ধরা পড়েছে। দেশের অনেক জায়গায় কার্ড বিতরণকালে এমন ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। এতে বিশেষ চক্র জড়িত।

মধুপুর থানার ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদ জানান, মামলায় আটক মরিয়ম চক্র মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা মিলছে। মরিয়মের সঙ্গে থাকা চাচাতো বোন ফামলিা ওরফে রুনা, সালমারা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছেন। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

আন্তঃজেলা নারী চক্র স্বক্রিয়

মধুপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণকালে স্বর্ণালংকার চুড়ির হিড়িক, আটক এক

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্টকার্ড বিতরণকালে কার্ড গ্রহণকারী নারী নাগরিকদের স্বর্ণালংকার চুরির হিড়িক পড়েছে। চুরির দায়ে চক্রের মরিয়ম (৩৫) নামের এক নারীকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

ঘটনাটি ঘটেছে মধুপুরের মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা মাদ্রাসা মাঠে। আটককৃত মরিয়ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের শিশু মিয়ার স্ত্রী।

বুধবার রাতে মধুপুর থানায় মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা মাদ্রাসার মাঠে দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মামলা হয়েছে। স্বর্ণালংকার খোয়ানো ওই গ্রামের শিরিন নামের এক নারী আটককৃত নারীসহ আরও অজ্ঞাত ৪/৫ নারীর নামে বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় এলাকার তাহমিনা, রাশিদা বেগম, রমিছা বেগম, আশা, মনিরা ও কমলা রাণীসহ ৭/৮ নারীর স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার মূল্য পাঁচ লাখ  টাকার ওপরে।

মহিষমারা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মুসলিম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার থেকে এই ইউনিয়নের নাগরিকদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ হয়েছে। দুই দিনে মহিষমারা ইউনিয়নে স্মাটকার্ড বিতরণকালে ৭ নারীর চার ভরির অধিক স্বর্ণলংকার খোয়া যায়। খোয়া যায় ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য তাহমিনা আক্তারের চেইন। এ নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। চেইন খোয়া যাওয়ার সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালানো শুরু হয়। ভীড়ের মধ্যে সন্দেহজনক ও অপরিচিত মহিলার গতিবিধি পর্যালোচনায় অবশেষে ধরা পড়ে। তাকে চ্যালেঞ্জ করে আটক করা হলেই বের হয়ে আসে আসল কাহিনী। এলাকার নারীরা উত্তম মধ্যম দেওয়া শুরু করলে মরিয়ম প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে তাকে থানায় দিয়ে দেওয়া হয়।

সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার তারিকুল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্র ফেরত চাইলে ওই নারী অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে ধরা পড়েছে। দেশের অনেক জায়গায় কার্ড বিতরণকালে এমন ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। এতে বিশেষ চক্র জড়িত।

মধুপুর থানার ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদ জানান, মামলায় আটক মরিয়ম চক্র মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা মিলছে। মরিয়মের সঙ্গে থাকা চাচাতো বোন ফামলিা ওরফে রুনা, সালমারা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছেন। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর