লাঞ্ছিত করে ‘মুচলেকা’ আদায়,
মধুপুরে ভুয়া এমপি প্রার্থী সেজে প্রতারণার অভিযোগে যুবক আটক
- আপডেট সময় : ০৯:৫৩:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের টাঙ্গাইল -১(মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের ভুয়া এমপি প্রার্থী পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আরিফুজ্জামান সোহেল নামে এক যুবককে আটক করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
রোববার সন্ধ্যায় মধুপুর থানা মোড় এলাকায় অবস্থিত দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হারুনুর রশীদের মালিকানাধীন ঔষধের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আটক হওয়া আরিফুজ্জামান সোহেল ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আব্দুল মান্নান ভোলার ছেলে। বর্তমানে তিনি মধুপুর পৌরসভার চৌধুরী পাড়া আবাসিক এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে সোহেল ঢাকায় অবস্থানকালে বিভিন্ন মানুষের কাছে চাকরি ও নানা সুবিধা দেওয়ার কথা বলে টাকা-পয়সা নিতেন বলে জানা গেছে। তবে কোনো কাজ করতে পারেননি। মূলত তার প্রতারণা ছিল।
৫ আগস্টের পর তিনি মধুপুরে এসে একইভাবে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিতে থাকেন।
বোয়ালী ব্রিজের পূর্বপাড়ের স্বপন স্টোরের স্বপন অভিযোগ করেন, তাকে একটি সামাজিক সংগঠনের সম্মানিত সদস্য করার কথা বলে সোহেল ১ হাজার টাকা নেন, কিন্তু এরপর আর কোন যোগাযোগ করেননি।
এছাড়া আরফান আলী নামে একজন জানান, সোহেল মোস্তফা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে বাকিতে কয়েক কেজি মাংস নেওয়ার পরও তার সঙ্গে আর দেখা করেন না।
স্থানীয়দের দাবি, এ ধরনের প্রতারণার আরও বেশ কিছু ঘটনা রয়েছে। সম্প্রতি সোহেল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মধুপুর শাখার নেতা পরিচয় দিয়ে নিজেকে দলীয় প্রার্থী দাবি করে ব্যক্তিগত প্রচারণাও শুরু করেন। একই সঙ্গে নিজেকে সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতা হিসেবেও উপস্থাপন করছিলেন।
রোববার সন্ধ্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী ও উপজেলা সভাপতি হারুনুর রশীদের দোকানের সামনে সোহেলকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে ‘ভুয়া’ প্রার্থী প্রমাণ হয়।
হারুনুর রশীদ বলেন, “সোহেল আমাদের দলের কেউ না। তিনি ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাই নেতাকর্মীরা তাকে কান ধরে উঠবস করিয়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে সোহেলের বিরুদ্ধে স্ত্রী মামলা দায়ের করলে কিছুদিন আগে তিনি হাজতবাস শেষে বেরিয়ে আসেন।


















