শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
আমন্ত্রণ না পেয়ে পারিবারিক আয়োজনেই শহীদ বুদ্ধিজীবীর পরিবারের দোয়া
- আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ আখতারের পরিবার প্রশাসনের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ পাননি। সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ আখতারের পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবীর পরিবার সম্পর্কে প্রশাসন অবগত না থাকায় এমন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তাই উত্তর টাঙ্গাইলের একমাত্র শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ আখতারের স্মরণে গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা ধারাবাহিকতায় স্থানীয় মসজিদে পারিবারিক উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ আখতারের ছোট ভাই, ধনবাড়ী কলেজিয়েট স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন। এতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত থাকেন। তবে এবার উপস্থিতিতে স্থানীয়রা ছাড়া বিশেষ কেউ ছিলেন না বলে পরিবার সূত্র জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সম্ভাব্য প্রার্থী সাইদুল ইসলাম আপন। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ আখতারের পরিবারকে প্রশাসনের আয়োজনে আমন্ত্রণ না জানানোর ঘটনায় বিষ্মিত হয়েছেন। তিনি জানান, প্রশাসন কে স্থানীয়দের বিশেষ করে উপজেলা প্রশাসনে যারা চাকরি করেন তাদের অবগত করা উচিত ছিল। এটা উপেক্ষা করার বিষয় নয়।
মীর মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, “দুই-একবার ছাড়া আমাদের বাদ দিয়েই প্রশাসন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে। এবার নতুন কিছু নয়। তাই কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। গত ৫৩ বছর ধরে এলাকার মানুষ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা দোয়া মিলাদ করে আসছি। কাউকে আলাদা করে দাওয়াত করতে হয় না। প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর বাদ আছর আমাদের বাড়ি বা মসজিদে সবাই উপস্থিত হন। আগে অনেকেই দোয়া করে আমাদের শান্ত্বনা দিয়ে যেতেন, সেটি এখনও অব্যাহত আছে। এজন্য সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”
তিনি আরও জানান, “সরকার ১৯৯৪ সালে আমার বড় ভাই শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ আখতারের ছবি সম্বলিত স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে। এতে আমরা গর্বিত এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েম ইমরান বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কেউ আমাকে জানায়নি। আমন্ত্রণপত্র করা হয় নি। তবুও অনুষ্ঠানের আগে জানা গেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জুলাই যোদ্ধাদের মতো বিশেষ এই পরিবারটাকে জানানো সহজ ছিল। অনুষ্ঠান হয়ে গেছে। ‘এখন কি করি?’ নিজ থেকে এমন প্রশ্ন করে বিব্রত হন।





















