আত্মহত্যার অভিযোগ
জানাজা ছাড়াই মধুপুরে গৃহবধূর লাশ নদীর বুকে চাপা দেয়ায় এলাকায় ক্ষোভ
- আপডেট সময় : ১০:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মধুপুরে আত্মহত্যার অভিযোগে মৃত গৃহবধূর লাশের স্থান হয়নি নির্ধারিত সামাজিক কবরস্থানে। এমন কি তার জানাজাও হয়নি। অবশেষে তার লাশ বংশাই নদীর তলদেশে অনেকটা চাপা দেয়া হয়েছে। উপজেলার চাপড়ী বাজার এলকায় ঘটেছে এমন ঘটনা। এতে এলাকায় ক্ষোভ ববরাজ করছে। লাশ মাটি চাপা দেয়া হয়েছে রোববার রাতে।
জানা যায়, চাপড়ী বাজার সংলগ্ন কুড়ালিয়া ইউনিয়নের দড়িহাতীল গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে রাসেল মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন(১৮) গত শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামীর বাড়ি থেকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। পোস্টমর্টেম শেষে লাশ স্বামী রাসেল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসলে স্বামীর বাড়িসহ এলাকার লোকজন বাবার বাড়ির স্বজনদের সাথে বচসায় জড়ায়। বাবার বাড়ির স্বজনরা ক্ষোভ নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এদিকে সুমাইয়ার লাশ নিয়ে সামাজিকভাবে জটিলতা দেখা দেয়।
তালুকপাড়ার হযরত আলী, চাপড়ী বাজারের সাইদুর রহমান জানান, সমাজের লোকজন আত্মহত্যাজনিত কারণে মৃত্যু হওয়ায় জানাজা দিতে বিরত থাকেন। শুধু জানাজাই নয় সামাজিক কবরস্থানে দাফন করতেও বাধা আসে। এমন অবস্থায় স্বামীর পরিবার লাশটি চাপড়ী বাজার সংলগ্ন বংশাই নদীর তলদেশে মাটি চাপা দিতে বাধ্য হয়।
সৈকত নামের একজন ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লিখেছেন, “আমাদের সমাজে গরু মরলেও এর থেকে ভালো জায়গায় দাফন করা হয়। এলাকার মেয়ে জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন,এই মেয়ের কোন জানাজা হয় নাই ,,,গোসল করানো হয় নাই ,,এই লাশটা হালকা মাটি খুড়ে গেড়ে রাখা হয়েছে। আমার জন্মে এরকম কবর এর আগে দেখি নাই। ২০২৫ সালে আইসা এইটা দেখতে হলো। মানুষ আর মানুষ নাই।তীব্র নিন্দা জানাই। এই মেয়েটা অনেক ভালো একটা মেয়ে ছিলো। মাদ্রাসার ছাত্রী ছিলো।
এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য ব্যাপার জানিয়ে এমন কাজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সমাজবাসীর ভূমিকায় তিনি বিস্মিত হয়েছেন।





















