মারধরের অভিযোগ
মধুপুরে সুদের টাকা আদায়ে বাড়িতে হামলা, টাকা-গরু লুট
- আপডেট সময় : ১০:৪১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বেলচুঙ্গি এলাকায় মূলসহ সুদের টাকা আদায় করতে হবিবুর রহমান নামের এক ঋণ গ্রহিতার বাড়িতে হামলা, টাকা ও গরু লুট এবং মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ঋণদাতা ভোলা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সুদে লাগানো ঋণ দাতা ভোলা বেলচুঙ্গি গ্রামের মৃত মোন্তাজ আলীর ছেলে। ঋণ গ্রহিতা হবিবর একই গ্রামের মৃত আরফান আলীর ছেলে। তারা একে অপরের প্রতিবেশী।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে বাড়িতে হামলা ও লুটের এ ঘটনা ঘটে।
হবিবুর জানায়, সাংসারিক প্রয়োজনে তিনি প্রতিবেশী ভোলার কাছ থেকে দুই বছর আগে প্রতি বছর ২৭ হাজার টাকায় সুদে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন। বিগত দুই বছর তিনি ২৭ হাজার করে ৫৪ হাজার টাকা সুদ পরিশোধ করেছেন। এবার টাকা পরিশোধে একটু বিলম্ব হয়। ভোলা এবার সুদসহ মূল টাকা ফেরত পেতে চাপ দিতে থাকেন। থানায় অভিযোগ করে প্রভাব খাটিয়ে টাকা পরিশোধের চাপও দেন। টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়ে ১০-১২ দিন আগে চাষের জন্য ভোলাকে জমি ছেড়ে দেন। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ ঋণ দাতা ভোলা -মিন্টু, হানিফ, সিদ্দিক ড্রাইভারসহ বেশ কিছু লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে হামলা করে লুটপাট চালান। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, এসময় ট্রাঙ্ক ভেঙে ইতোমধ্যে ১৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে রাখা টাকা ও দুইটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে লাঠি, প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনিসহ কয়েকজন আহত হয়।
ভোলা মিয়া লুট ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার কাছ থেকে চার বছর আগে ২ লক্ষ টাকা নিয়েছিল হবিবুর। ধানের উপরে। জমিও দিতে চেয়েছেন। সময় পার হলেও জমি টাকা কোনটাই দিচ্ছেন না। মীমাংসার বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানেনি। থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতেও পরিশোধ করে নাই। ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন লোক নিয়ে দুইটা গরু আনা হয়েছে। সেই গরু দুইটা ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনা সৃষ্টিকারীদের রাজনৈতিক পরিচয়ের থাকার কারণে এলাকায় তাদের প্রভাব আছে। তারা এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি
এদিকে ভুক্তভোগী হবিবুর অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিতে চাইলে ডিউটি অফিসার শাহীন আলম অভিযোগ নেননি।
মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির জানান, নাগরিকের যে কোন আইনী সমস্যায় অভিযোগ দিলে থানা অবশ্যই নিবে। আবার অভিযোগ নিয়ে থানায় পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।












