ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি

মধুপুরে তিন গ্রুপে মিছিল, অপর গ্রুপের বৃহস্পতিবার

মধুপুর করেসপন্ডেন্ট শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজনে টাঙ্গাইলে মধুপুর বিএনপির বিবদমান চার গ্রুপের মধ্যে তিনটি গ্রুপ পালটাপালটি আনন্দ মিছিল করেছে। সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভক্তির অংশ হিসাবে বুধবার তিন পক্ষের নেতাকর্মীরা পৌর শহরে দিনভর মিছিল-সমাবেশ করেছে। এদের মধ্যে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেতা। অপর কেন্দ্রীয় নেতার নেতৃত্বে চতুর্থ গ্রুপের বৃহস্পতিবার বিকেলে একই কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আরো অন্তত দুইজনের পক্ষের নেতাকর্মীদেও অবস্থান আছে। এসব বিভাজনে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রভাব দেখা গেছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রথম আনন্দ মিছিল বের হয় লে. কর্নেল(অব.)আসাদুল ইসলাম আজাদের পক্ষে। দলীয় কোন পদ না থাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশী এ নেতার নামে সম্প্রতি গঠিত ‘কর্নেল আজাদ সমর্থক গোষ্ঠী’র ব্যানারে এ আনন্দ মিছিল বের হয়। এতে মূলদল বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের সাবেক বর্তমান নেতাকর্মীরা অংশ নেন। নারী পুরুষের বর্ণাঢ্য বিশাল মিছিল ময়ময়নসিংহ সড়কের কল্লোল সিনেমা এলাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে পৌর শহর ঘুরে আবার সেখানে ফিরে আসে। সমাবেশে আসাদুল ইসলাম আজাদসহ একাধিক নেতাকর্মী বক্তৃতা করেন।
এরপর বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র অ্যাডভোকেট জোবাইর আল মাহমুদ রিজভীর নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের হয়। আজাদ সমর্থক গোষ্ঠীর কার্যালয়ের একশ গজের মধ্যেই সড়কের উল্টো পাশের বাসা ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামন থেকে ব্যানার ফেস্টুনের বর্ণাঢ্য মিছিল পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে শুরুর স্থানে ফিরে এসে শেষ হয়। সংক্ষিত্ম সমাবেশে রিজভী বক্তৃতা করেন।
বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মিছিল বের হয় উপজেলা বিএনপির ব্যানারে। একই সড়কের ৫ শ গজ দূরের হাটখোলা নতুন বাজারের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মধুপুর থেকে একাধিকবার সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। তার সাথে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনসহ পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পুরো শহর মিছিল করে তারা থানা মোড়ের মধুপুর অডিটরিয়ামে সমাবেশে যোগদেন। সেখানে নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
এ দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির আরেক কার্যনির্বাহী সদস্য ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১( মধুপুর- ধনবাড়ী) আসনে নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর গ্রুপ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনন্দ মিছিল করবে বৃহস্পতিবার বিকেলে। সেই মিছিলের আয়োজন নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ তোড়জোর দেখা গেছে। এ দিকে আরো দুই আইনজীবী ( একজন সুপ্রিম কোর্টের, আরেকজন জেলা আদলতের পিপি) মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে পোস্টার বিলবোর্ড দিয়ে দোয়া চেয়েছেন। তাদের পক্ষেও নেতাকর্মী আছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী বলেন, পৃথক কর্মসূচির আয়োজনে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ মনোভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। অন্তঃদলীয় বিভক্তি নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। দল বিমুখ করে। তাই দলের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান তাদের। তারা বলেন, নির্বাচনে যেই মনোনয়ন পান, তার পক্ষেই তো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!

বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি

মধুপুরে তিন গ্রুপে মিছিল, অপর গ্রুপের বৃহস্পতিবার

আপডেট সময় : ০৭:৩১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজনে টাঙ্গাইলে মধুপুর বিএনপির বিবদমান চার গ্রুপের মধ্যে তিনটি গ্রুপ পালটাপালটি আনন্দ মিছিল করেছে। সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভক্তির অংশ হিসাবে বুধবার তিন পক্ষের নেতাকর্মীরা পৌর শহরে দিনভর মিছিল-সমাবেশ করেছে। এদের মধ্যে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেতা। অপর কেন্দ্রীয় নেতার নেতৃত্বে চতুর্থ গ্রুপের বৃহস্পতিবার বিকেলে একই কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আরো অন্তত দুইজনের পক্ষের নেতাকর্মীদেও অবস্থান আছে। এসব বিভাজনে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রভাব দেখা গেছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রথম আনন্দ মিছিল বের হয় লে. কর্নেল(অব.)আসাদুল ইসলাম আজাদের পক্ষে। দলীয় কোন পদ না থাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশী এ নেতার নামে সম্প্রতি গঠিত ‘কর্নেল আজাদ সমর্থক গোষ্ঠী’র ব্যানারে এ আনন্দ মিছিল বের হয়। এতে মূলদল বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের সাবেক বর্তমান নেতাকর্মীরা অংশ নেন। নারী পুরুষের বর্ণাঢ্য বিশাল মিছিল ময়ময়নসিংহ সড়কের কল্লোল সিনেমা এলাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে পৌর শহর ঘুরে আবার সেখানে ফিরে আসে। সমাবেশে আসাদুল ইসলাম আজাদসহ একাধিক নেতাকর্মী বক্তৃতা করেন।
এরপর বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র অ্যাডভোকেট জোবাইর আল মাহমুদ রিজভীর নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের হয়। আজাদ সমর্থক গোষ্ঠীর কার্যালয়ের একশ গজের মধ্যেই সড়কের উল্টো পাশের বাসা ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামন থেকে ব্যানার ফেস্টুনের বর্ণাঢ্য মিছিল পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে শুরুর স্থানে ফিরে এসে শেষ হয়। সংক্ষিত্ম সমাবেশে রিজভী বক্তৃতা করেন।
বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মিছিল বের হয় উপজেলা বিএনপির ব্যানারে। একই সড়কের ৫ শ গজ দূরের হাটখোলা নতুন বাজারের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মধুপুর থেকে একাধিকবার সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। তার সাথে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনসহ পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পুরো শহর মিছিল করে তারা থানা মোড়ের মধুপুর অডিটরিয়ামে সমাবেশে যোগদেন। সেখানে নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
এ দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির আরেক কার্যনির্বাহী সদস্য ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১( মধুপুর- ধনবাড়ী) আসনে নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর গ্রুপ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনন্দ মিছিল করবে বৃহস্পতিবার বিকেলে। সেই মিছিলের আয়োজন নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ তোড়জোর দেখা গেছে। এ দিকে আরো দুই আইনজীবী ( একজন সুপ্রিম কোর্টের, আরেকজন জেলা আদলতের পিপি) মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে পোস্টার বিলবোর্ড দিয়ে দোয়া চেয়েছেন। তাদের পক্ষেও নেতাকর্মী আছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী বলেন, পৃথক কর্মসূচির আয়োজনে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ মনোভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। অন্তঃদলীয় বিভক্তি নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। দল বিমুখ করে। তাই দলের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান তাদের। তারা বলেন, নির্বাচনে যেই মনোনয়ন পান, তার পক্ষেই তো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।