সিরাজদীখানের ধলেশ্বরীর শাখা সেতু
ধলেশ্বরীতে আট বছরেও শেষ হয়নি দুই বছরের কাজ

- আপডেট সময় : ০৮:২৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার সিরাজদীখান ও কেরানীগঞ্জের মোল্লাবাজার এলাকার ধলেশ্বরীর শাখা নদীর ওপর নির্মিতব্য সেতুটির কাজ আট বছরেও শেষ হয়নি। ফলে মুন্সীগঞ্জ সদর, সিরাজদীখান, টঙ্গীবাড়ি ও লৌহজং উপজেলার প্রায় ছয় লাখ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করা হোক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেতুটি সম্পূর্ণ হলে চার উপজেলার মানুষ যানজট ছাড়াই ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবেন। বর্তমানে তারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ট্রলার ও ছোট ফেরিতে নদী পার হচ্ছেন। বেতকা চৌরাস্তা থেকে মোল্লাবাজার হয়ে ব্রিজের গোড়া পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য ১৬ কিলোমিটার এবং সেখান থেকে ঢাকার পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত আরও ৬ কিলোমিটার। যানজট না থাকলে এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট, অথচ এক্সপ্রেসওয়ে বা চাষাঢ়া-পাগলা রুটে যেতে লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা।
২৫২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর নির্মাণকাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়। ৩৩ কোটি ২৭ লাখ টাকায় ‘সুরমা এন্টারপ্রাইজ’কে প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার কথা ছিল। পরে সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ২০২৫ সালেও কাজ শেষ হয়নি, বরং মূল নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ১৩টি পিলারের ওপর ১২টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা ছিল। এখন পর্যন্ত ৮টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং কিছু স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে সেতুর প্রায় ২০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম জানান, সেতুর ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নতুন করে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।