ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাগত ১৪৩২

ভিন্ন আঙ্গিকে এবারের নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে

আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। বরাবরের মতো নানা আয়োজনে উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে বাংলা নতুন বছর। রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এবার ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে হচ্ছে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা। এবার ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইউনেস্কো স্বীকৃত মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে সকালে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ, দিনটিকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত সর্বস্তরের মানুষ। বসন্তের রঙিলা পালকিতে চড়ে আসা বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।

আজ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের হবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং একাত্মতা উদ্‌যাপিত হবে, যা এখন দেশব্যাপী একটি পরিচিত সাংস্কৃতিক আয়োজনে পরিণত হয়েছে।

এবারের শোভাযাত্রায় অংশ নিচ্ছে ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং দেশি-বিদেশি অতিথিরা। থাকছে ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফ। বড় মোটিফগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, টাইপোগ্রাফিতে ৩৬ জুলাই, শান্তির পায়রা, পালকি, জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল ইত্যাদি। বিশেষভাবে এবারের শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তরমুজের মোটিফ যুক্ত করা হয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের এক রাজনৈতিক বার্তাবাহী উপাদান। এ ছাড়া থাকবে সুলতানি ও মুঘল আমলের ১০টি মুখোশ, ৮০টি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, ২০টি রঙিন চরকি, ২০০টি বাঘের মাথা, তালপাতার ৮টি সেপাই, ১০টি পলো, ৫টি তুহিন পাখি, ৬টি মাছ ধরার চাই, ৪টি পাখা, ২০টি মাথাল, ২০টি ঘোড়া, ৫টি লাঙল, ৫টি মাছের ডোলা এবং ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের লোকজ চিত্রাবলীর ক্যানভাস।

এদিকে শনিবার ভোরে চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’তে আগুন লাগিয়ে দেয় এক মুখোশধারী যুবক। তবে বাধা পেরিয়ে শিল্পীরা আবারো কাজ শুরু করেন। ককশিট দিয়ে নতুন করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন তারা।

ফ্যাসিস্ট প্রতিকৃতি তৈরির শিল্পী নাছির খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি পুনরায় তৈরি করতে পুরোদমে কাজ করেছি। আমরা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।

চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর আজহারুল ইসলাম বলেন, এবার ভিন্ন আঙ্গিকে আমরা পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছি। শোভাযাত্রায় জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল প্রতিকৃতি ও ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তরমুজের মোটিফ যুক্ত করেছি আমরা। ইতোমধ্যেই ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি পুনরায় তৈরি করা হয়েছে। সকল প্রস্তুতির মধ্যদিয়ে এবারের পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা আরও রঙিন, বর্ণিল এবং তাৎপর্যমণ্ডিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-এর পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানিয়েছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের একাংশ। একইসঙ্গে শোভাযাত্রা আয়োজনে নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং এবার অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দিয়ে আয়োজন করার নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন তারা। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি রাখেন তারা।

ঢাকার যেসব রাস্তা বন্ধ থাকবে, যেখানে গাড়ি পার্কিং

পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে আয়োজিত অনুষ্ঠান এবং চারুকলার আনন্দ শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বেশকিছু ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার ভোর ৫টা থেকে রমনা পার্ক (রমনা বটমূল), সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকার সড়কে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু রাস্তা বন্ধ থাকছে।

১. বাংলামোটর ক্রসিং/নেভি গ্যাপ

২. পুলিশ ভবন ক্রসিং

৩. সুগন্ধা ক্রসিং

৪. কাকরাইল চার্চ ক্রসিং

৫. কদমফোয়ারা ক্রসিং

৬. হাইকোর্ট ক্রসিং (পূর্ব ও দক্ষিণ)

৭. দোয়েল চত্বর ক্রসিং

৮. রোমানা ক্রসিং

৯. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার

১০. জগন্নাথ হল ক্রসিং

১১. ভাস্কর্য ক্রসিং

১২. নীলক্ষেত ক্রসিং ও

১৩. কাঁটাবন ক্রসিং

গাড়ি চলাচলের দিকনির্দেশনা

১. মিরপুর-ফার্মগেট থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন বাংলামোটর ক্রসিং বামে মোড় নিয়ে মগবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে যাবে।

২. গোলাপশাহ মাজার ক্রসিং-হাইকোর্ট ক্রসিং থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন কদমফোয়ারা ক্রসিং-ইউবিএল ক্রসিং-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে যাবে।

৩. সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন মিরপুর রোড দিয়ে আজিমপুর ক্রসিং-চাঁনখারপুল ক্রসিং-বকশীবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে যাবে।

গাড়ি পার্কিং

১. নেভি গ্যাপ থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত।

২. মৎস্যভবন ক্রসিং থেকে সেগুনবাগিচা পর্যন্ত (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি)।

৩. শিল্পকলা একাডেমি গলি (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি)।

৪. কাঁটাবন ক্রসিং থেকে নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে পলাশী ক্রসিং পর্যন্ত।

৫. দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত।

৬. আব্দুল গনি রোড।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

স্বাগত ১৪৩২

ভিন্ন আঙ্গিকে এবারের নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা

আপডেট সময় : ০৯:০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। বরাবরের মতো নানা আয়োজনে উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে বাংলা নতুন বছর। রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এবার ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে হচ্ছে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা। এবার ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইউনেস্কো স্বীকৃত মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে সকালে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ, দিনটিকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত সর্বস্তরের মানুষ। বসন্তের রঙিলা পালকিতে চড়ে আসা বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।

আজ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের হবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং একাত্মতা উদ্‌যাপিত হবে, যা এখন দেশব্যাপী একটি পরিচিত সাংস্কৃতিক আয়োজনে পরিণত হয়েছে।

এবারের শোভাযাত্রায় অংশ নিচ্ছে ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং দেশি-বিদেশি অতিথিরা। থাকছে ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফ। বড় মোটিফগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, টাইপোগ্রাফিতে ৩৬ জুলাই, শান্তির পায়রা, পালকি, জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল ইত্যাদি। বিশেষভাবে এবারের শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তরমুজের মোটিফ যুক্ত করা হয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের এক রাজনৈতিক বার্তাবাহী উপাদান। এ ছাড়া থাকবে সুলতানি ও মুঘল আমলের ১০টি মুখোশ, ৮০টি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, ২০টি রঙিন চরকি, ২০০টি বাঘের মাথা, তালপাতার ৮টি সেপাই, ১০টি পলো, ৫টি তুহিন পাখি, ৬টি মাছ ধরার চাই, ৪টি পাখা, ২০টি মাথাল, ২০টি ঘোড়া, ৫টি লাঙল, ৫টি মাছের ডোলা এবং ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের লোকজ চিত্রাবলীর ক্যানভাস।

এদিকে শনিবার ভোরে চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’তে আগুন লাগিয়ে দেয় এক মুখোশধারী যুবক। তবে বাধা পেরিয়ে শিল্পীরা আবারো কাজ শুরু করেন। ককশিট দিয়ে নতুন করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন তারা।

ফ্যাসিস্ট প্রতিকৃতি তৈরির শিল্পী নাছির খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি পুনরায় তৈরি করতে পুরোদমে কাজ করেছি। আমরা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।

চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর আজহারুল ইসলাম বলেন, এবার ভিন্ন আঙ্গিকে আমরা পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছি। শোভাযাত্রায় জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল প্রতিকৃতি ও ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তরমুজের মোটিফ যুক্ত করেছি আমরা। ইতোমধ্যেই ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি পুনরায় তৈরি করা হয়েছে। সকল প্রস্তুতির মধ্যদিয়ে এবারের পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা আরও রঙিন, বর্ণিল এবং তাৎপর্যমণ্ডিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-এর পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানিয়েছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের একাংশ। একইসঙ্গে শোভাযাত্রা আয়োজনে নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং এবার অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দিয়ে আয়োজন করার নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন তারা। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি রাখেন তারা।

ঢাকার যেসব রাস্তা বন্ধ থাকবে, যেখানে গাড়ি পার্কিং

পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে আয়োজিত অনুষ্ঠান এবং চারুকলার আনন্দ শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বেশকিছু ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার ভোর ৫টা থেকে রমনা পার্ক (রমনা বটমূল), সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকার সড়কে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু রাস্তা বন্ধ থাকছে।

১. বাংলামোটর ক্রসিং/নেভি গ্যাপ

২. পুলিশ ভবন ক্রসিং

৩. সুগন্ধা ক্রসিং

৪. কাকরাইল চার্চ ক্রসিং

৫. কদমফোয়ারা ক্রসিং

৬. হাইকোর্ট ক্রসিং (পূর্ব ও দক্ষিণ)

৭. দোয়েল চত্বর ক্রসিং

৮. রোমানা ক্রসিং

৯. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার

১০. জগন্নাথ হল ক্রসিং

১১. ভাস্কর্য ক্রসিং

১২. নীলক্ষেত ক্রসিং ও

১৩. কাঁটাবন ক্রসিং

গাড়ি চলাচলের দিকনির্দেশনা

১. মিরপুর-ফার্মগেট থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন বাংলামোটর ক্রসিং বামে মোড় নিয়ে মগবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে যাবে।

২. গোলাপশাহ মাজার ক্রসিং-হাইকোর্ট ক্রসিং থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন কদমফোয়ারা ক্রসিং-ইউবিএল ক্রসিং-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে যাবে।

৩. সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন মিরপুর রোড দিয়ে আজিমপুর ক্রসিং-চাঁনখারপুল ক্রসিং-বকশীবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে যাবে।

গাড়ি পার্কিং

১. নেভি গ্যাপ থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত।

২. মৎস্যভবন ক্রসিং থেকে সেগুনবাগিচা পর্যন্ত (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি)।

৩. শিল্পকলা একাডেমি গলি (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি)।

৪. কাঁটাবন ক্রসিং থেকে নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে পলাশী ক্রসিং পর্যন্ত।

৫. দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত।

৬. আব্দুল গনি রোড।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর