ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সাপের মাথা’ বলল ইসরাইলি পত্রিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / শালবন বার্তা ২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

গ্র্যান্ড ইমাম আহমদ আল-তাইয়েব। ছবি : সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় মিশরের ঐতিহাসিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর গ্র্যান্ড ইমাম আহমদ আল-তাইয়েবকে ঘিরে তীব্র সমালোচনায় মেতেছে ইসরাইলি গণমাধ্যম।

হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত ইসরাইলের প্রভাবশালী দৈনিক মারিভ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আল-আজহারকে ‘সাপের মাথা’ বলে উল্লেখ করে সরাসরি নির্মূল করার আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় ইসরাইলবিরোধী মনোভাব ছড়ানোর একটি মূল কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনটিতে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা এবং মিশর-বিষয়ক বিশ্লেষক এলি ডেকেলের একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ডেকেল বলেন, “আল-আজহার এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর মুখপাত্র হয়ে উঠেছে।” যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে, তিনি ইসলাম বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন, বরং নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এ মন্তব্য করছেন।

সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় গাজায় ইসরাইলের চলমান কার্যক্রমকে ‘গণহত্যা’, ‘পরিকল্পিত হামলা’ এবং ‘না খাইয়ে মারার নীতি’ হিসেবে অভিহিত করে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছিল। তবে কিছু সময় পর সেই বিবৃতি প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের কাছে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন এই প্রতিষ্ঠান ও এর অবস্থান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সাপের মাথা’ বলল ইসরাইলি পত্রিকা

আপডেট সময় : ০৬:১০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় মিশরের ঐতিহাসিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর গ্র্যান্ড ইমাম আহমদ আল-তাইয়েবকে ঘিরে তীব্র সমালোচনায় মেতেছে ইসরাইলি গণমাধ্যম।

হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত ইসরাইলের প্রভাবশালী দৈনিক মারিভ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আল-আজহারকে ‘সাপের মাথা’ বলে উল্লেখ করে সরাসরি নির্মূল করার আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় ইসরাইলবিরোধী মনোভাব ছড়ানোর একটি মূল কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনটিতে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা এবং মিশর-বিষয়ক বিশ্লেষক এলি ডেকেলের একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ডেকেল বলেন, “আল-আজহার এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর মুখপাত্র হয়ে উঠেছে।” যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে, তিনি ইসলাম বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন, বরং নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এ মন্তব্য করছেন।

সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় গাজায় ইসরাইলের চলমান কার্যক্রমকে ‘গণহত্যা’, ‘পরিকল্পিত হামলা’ এবং ‘না খাইয়ে মারার নীতি’ হিসেবে অভিহিত করে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছিল। তবে কিছু সময় পর সেই বিবৃতি প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের কাছে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন এই প্রতিষ্ঠান ও এর অবস্থান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।