ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান শিক্ষকের চেয়ার ছিনিয়ে নেয়ায় ক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০৯:২২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০২৫ ২২৪ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মধুপুরের রাণী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষকের লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ঘটনার পরের দিন শহরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছে। এবার ক্লাস বর্জন করে শনিবারের মধ্যে ঘটনায় অভিযুক্তদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে আহবান করেছে বিক্ষোভকারীরা । অন্যথায় রবিবার থেকে মধুপুর পৌর শহরে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন করে এমন হুশিয়ার দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে ঘটনার পরের দিন বুধবার তারা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ওইদিন মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবিরের মধ্যস্থতায় পরিবেশ কিছুটা শান্ত করা গেলেও নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে মীমাংসার লক্ষণ না দেখে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জনসহ নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
ঘটনাটি টাঙ্গাইলের মধুপুর রাণী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং রাণী ভবানীর ১৯৮৬ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী অবসর প্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদের ৫ আগস্ট মঙ্গলবারের বিজয় মিছিল শেষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বসা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সাবেক কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম মাসুদ রাণী ভবানীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদের কক্ষে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে উচ্চ স্বরে কথা বলছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন তার পাশে আছেন এবং প্রধান শিক্ষকের সাথেও আছেন একাধিক সহকারী শিক্ষক। এক পর্যায়ে কর্নেল(,অব.) আজাদের এক কর্মীকে দাঁড়িয়ে থাকা প্রধান শিক্ষকের পিছন থেকে চেয়ার নিয়ে কক্ষের বাইরে বের হয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

এর কারণ জানতে অনুসন্ধানে জানা গেছে, কর্মসূচির আগে পরে আজাদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের মাঠে কর্মী সমর্থকদের যানবাহন রাখার মৌখিক অনুমতি নেয়া হয়। মিছিল শেষে মাঠে জমায়েত কর্মীদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখার আগে কর্নেল(অব.) আজাদ প্রধান শিক্ষকের কক্ষে কয়েকজনকে নিয়ে একটু বসতে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বসতে নিষেধ করেন। এ ঘটনায কর্মীরা প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষুব্দ হন। একপর্যায়ে আশরাফুল ইসলাম মাসুদ প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে কথা বলেন।

এদিকে এ ঘটনার খবর ওইদিন রাত থেকে ছড়তে থাকে। পরের দিন বুধবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের বিরুদ্ধে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রতিবাদ জানায়।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদ জানান,, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে কর্নেল আজাদের কর্মীরা আমাদের স্কুলে সমবেত হয় এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের জন্য তার ভাই আমার চেয়ার চায়। তখন তিনি বলেন, আমি তো আর কর্নেল আজাদকে চিনি না। তার পর আমার অজান্তে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার নিয়ে আসে। আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে আমার চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়। পরের দিন বুধবার ছাত্রদের বিক্ষোভের সময় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মধুপুর থানার ওসিকে অবহিত করেন। ওসি ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেন। শনিবারের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করাব প্রতিশ্রুতি দেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের প্রধান শিক্ষকের সাথে দুর্ব্যবহার এবং চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়া হয়েছে। এতে রাণী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এজন্য বুধবার বিক্ষোভ মিছিল এবং বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবারের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে রবিবার থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবে তারা।

আশরাফুল ইসলাম মাসুদ জানান, সাম্প্রতিক রাণী ভবানীর নানা কর্মসূচিতে রাণীভবানীয়ান সাবেক কর্নেল আজাদের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে থাকার পরও প্রধান শিক্ষক তাকে চেনেন না। তাকে কক্ষে বসতে দেননি। বের হয়ে বাইরে বসতে বলেছোন। এটি খুবই দুঃখজনক। এ নিয়ে একটু উচ্চবাচ্য করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। এ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শনিবারের মধ্যে যেহেতু মীমাংসা বৈঠক হওয়ার কথা, আমরা সেটার জন্য অপেক্ষা করছি। অপরাধ হলে আমরা তার জন্য যে ব্যবস্থা হয় মেনে নেব।

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। রাণী ভবানী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের চেয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার মত একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা দলীয়ভাবে এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনই সমর্থন করি না।

এ ব্যাপারে জানতে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে তিনি তার ফেইসবুক ওয়ালে দাবি করেছেন, চেয়ার নিয়ে হেড মাস্টারের বাইরে বসতে বলার দৃশ্যটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করতে। তিনি লিখেছেন, ঘটনার পরের দিন হেডমাস্টারের প্রত্যক্ষ মদদে, কোমলমতি ছাত্রদের দিয়ে মিছিল করায়, আমার অফিস ভাংচুর করে, বি এন পির পোস্টার ছিড়ে ফেলে।” লিখেছেন,
বাচ্চাদের কথা বিবেচনা করে আমি কোথাও কোন লিখিত অভিযোগ করিনাই। এই ঘটনায় আমার ক্ষমা চাওয়ার মতো কোন কাজ আমি করি নাই। আমাকে নিয়ে অনেক মিডিয়ায় মিথ্যা ভাবে অনেককিছু প্রচার করার পর, আমার সহকর্মিদের সকলকে সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছি (৬/০৮/২০২৫ এ আমার অফিসে)। তারপরও মনে হচ্ছে তারা আরও অনেক কিছু করার চেস্টা অব্যাহত রাখবে। সেটা তাদের অভিরুচি।

মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির জানান,, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের পর আমি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের সাথে কথা বলি এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে আগামী শনিবার উভয় পক্ষকে বসার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাধানের আহবান জানাই। এতে তারা সম্মতি জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

প্রধান শিক্ষকের চেয়ার ছিনিয়ে নেয়ায় ক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম

আপডেট সময় : ০৯:২২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০২৫

টাঙ্গাইলের মধুপুরের রাণী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষকের লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ঘটনার পরের দিন শহরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছে। এবার ক্লাস বর্জন করে শনিবারের মধ্যে ঘটনায় অভিযুক্তদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে আহবান করেছে বিক্ষোভকারীরা । অন্যথায় রবিবার থেকে মধুপুর পৌর শহরে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন করে এমন হুশিয়ার দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে ঘটনার পরের দিন বুধবার তারা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ওইদিন মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবিরের মধ্যস্থতায় পরিবেশ কিছুটা শান্ত করা গেলেও নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে মীমাংসার লক্ষণ না দেখে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জনসহ নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
ঘটনাটি টাঙ্গাইলের মধুপুর রাণী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং রাণী ভবানীর ১৯৮৬ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী অবসর প্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদের ৫ আগস্ট মঙ্গলবারের বিজয় মিছিল শেষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বসা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সাবেক কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম মাসুদ রাণী ভবানীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদের কক্ষে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে উচ্চ স্বরে কথা বলছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন তার পাশে আছেন এবং প্রধান শিক্ষকের সাথেও আছেন একাধিক সহকারী শিক্ষক। এক পর্যায়ে কর্নেল(,অব.) আজাদের এক কর্মীকে দাঁড়িয়ে থাকা প্রধান শিক্ষকের পিছন থেকে চেয়ার নিয়ে কক্ষের বাইরে বের হয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

এর কারণ জানতে অনুসন্ধানে জানা গেছে, কর্মসূচির আগে পরে আজাদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের মাঠে কর্মী সমর্থকদের যানবাহন রাখার মৌখিক অনুমতি নেয়া হয়। মিছিল শেষে মাঠে জমায়েত কর্মীদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখার আগে কর্নেল(অব.) আজাদ প্রধান শিক্ষকের কক্ষে কয়েকজনকে নিয়ে একটু বসতে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বসতে নিষেধ করেন। এ ঘটনায কর্মীরা প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষুব্দ হন। একপর্যায়ে আশরাফুল ইসলাম মাসুদ প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে কথা বলেন।

এদিকে এ ঘটনার খবর ওইদিন রাত থেকে ছড়তে থাকে। পরের দিন বুধবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের বিরুদ্ধে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রতিবাদ জানায়।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদ জানান,, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে কর্নেল আজাদের কর্মীরা আমাদের স্কুলে সমবেত হয় এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের জন্য তার ভাই আমার চেয়ার চায়। তখন তিনি বলেন, আমি তো আর কর্নেল আজাদকে চিনি না। তার পর আমার অজান্তে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার নিয়ে আসে। আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে আমার চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়। পরের দিন বুধবার ছাত্রদের বিক্ষোভের সময় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মধুপুর থানার ওসিকে অবহিত করেন। ওসি ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেন। শনিবারের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করাব প্রতিশ্রুতি দেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের প্রধান শিক্ষকের সাথে দুর্ব্যবহার এবং চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়া হয়েছে। এতে রাণী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এজন্য বুধবার বিক্ষোভ মিছিল এবং বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবারের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে রবিবার থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবে তারা।

আশরাফুল ইসলাম মাসুদ জানান, সাম্প্রতিক রাণী ভবানীর নানা কর্মসূচিতে রাণীভবানীয়ান সাবেক কর্নেল আজাদের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে থাকার পরও প্রধান শিক্ষক তাকে চেনেন না। তাকে কক্ষে বসতে দেননি। বের হয়ে বাইরে বসতে বলেছোন। এটি খুবই দুঃখজনক। এ নিয়ে একটু উচ্চবাচ্য করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। এ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শনিবারের মধ্যে যেহেতু মীমাংসা বৈঠক হওয়ার কথা, আমরা সেটার জন্য অপেক্ষা করছি। অপরাধ হলে আমরা তার জন্য যে ব্যবস্থা হয় মেনে নেব।

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। রাণী ভবানী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের চেয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার মত একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা দলীয়ভাবে এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনই সমর্থন করি না।

এ ব্যাপারে জানতে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে তিনি তার ফেইসবুক ওয়ালে দাবি করেছেন, চেয়ার নিয়ে হেড মাস্টারের বাইরে বসতে বলার দৃশ্যটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করতে। তিনি লিখেছেন, ঘটনার পরের দিন হেডমাস্টারের প্রত্যক্ষ মদদে, কোমলমতি ছাত্রদের দিয়ে মিছিল করায়, আমার অফিস ভাংচুর করে, বি এন পির পোস্টার ছিড়ে ফেলে।” লিখেছেন,
বাচ্চাদের কথা বিবেচনা করে আমি কোথাও কোন লিখিত অভিযোগ করিনাই। এই ঘটনায় আমার ক্ষমা চাওয়ার মতো কোন কাজ আমি করি নাই। আমাকে নিয়ে অনেক মিডিয়ায় মিথ্যা ভাবে অনেককিছু প্রচার করার পর, আমার সহকর্মিদের সকলকে সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছি (৬/০৮/২০২৫ এ আমার অফিসে)। তারপরও মনে হচ্ছে তারা আরও অনেক কিছু করার চেস্টা অব্যাহত রাখবে। সেটা তাদের অভিরুচি।

মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির জানান,, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের পর আমি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের সাথে কথা বলি এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে আগামী শনিবার উভয় পক্ষকে বসার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাধানের আহবান জানাই। এতে তারা সম্মতি জানিয়েছে।