মধুপুরে সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি: পরীক্ষায় হিমশিম শিক্ষা প্রশাসনের
- আপডেট সময় : ০৫:১০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

সহকারী শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের কারণে টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার কার্যক্রম অনেকটা বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় মেয়াদীর (বার্ষিক) পরীক্ষায় সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা গ্রহণ থেকে বিরত থাকায় বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে দেখা গেছে নানা অসঙ্গতি। পরীক্ষা গ্রহণ করছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, এলাকার সাবেক শিক্ষার্থীদের দিয়ে। কোন কোন বিদ্যালয়ে অভিভাবকরাও সহযোগিতা করছেন। এতে পরীক্ষার আসল উদ্দেশ্য ঠিক থাকছে না বলে অনেক অভিভাবক মন্তব্য করেছেন। এভাবে পরীক্ষা গ্রহণ শিশু শিক্ষার্থীদের মনে নেগেটিভ প্রভাব পড়ার শঙ্কা করছেন তারা।
মধুপুরের মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের মসজিদ চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, “সরকারি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় স্থানীয়ভাবে অভিভাবক, শিক্ষিত তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্নজনের সহযোগিতায় পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি। সহকারী শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক।শিক্ষার বৃহৎ স্বার্থে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান মধুপুর সদর থেকে অন্ততঃ ২০ কি.মি দুরের শোলাকুড়ি এলকার বিদ্যালয় অবস্থানকালীন বলেন, “পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। বিদ্যালয থেকে বিদ্যালয়ে দৌড়াচ্ছি।
উপজেলা জুড়ে ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র একই। প্রায় ৬শ সহকারী শিক্ষক পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। ফলে ১১ হাজার ৬৬৯ শিশু শিক্ষার্থীর পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষকদের।
বেশ কয়েকজন সহকারী শিক্ষক জানান, সামনের জানুয়ারিতে পে কমিশন ঘোষণা হবে, এর আগে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড ঘোষণার দাবি তাদের। অন্যথায় তাদের কর্ম বিরতি আন্দোলন চলবে।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা মনে করছেন, দাবি-দাওয়া ও আলোচনার দ্রুত সমাধান না হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে।
চলমান আন্দোলনের প্রভাবে পরীক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ যে গুরুতরভাবে ব্যাহত হচ্ছে—এ বিষয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রশাসনের সবার মধ্যেই বাড়ছে উদ্বেগ।












