ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঋণ কেলেঙ্কারিতে সাবেক মন্ত্রীসহ ২৭ জন অভিযুক্ত

শালবন বার্তা প্রতিবেদন
  • আপডেট সময় : ০৬:৪১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

সাবেক ভূমি মন্ত্রী। ছবি : সংগৃহীত

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী ও ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বজল আহমেদ বাবুল, সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আখতার মতিন, ইউনুছ আহমদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, আসিফুজ্জামান চৌ

ধুরী, রোকসানা জামান চৌধুরী, বশির আহমেদ, আফরোজা জামান, সৈয়দ কামরুজ্জামান, মো. শাহ আলম, ড. মো. জোনাইদ শফিক, ড. কনক কান্তি সেন, ড. অপরূপ চৌধুরী ও তৌহিদ সিপার রফিকজ্জামান।

এছাড়া ব্যাংকের সাবেক অফিসার ও কর্মকর্তারা: আবু হেনা মো. ফখরুল ইসলাম, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, জিয়াউল করিম খান, মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, মীর মেসবাহ উদ্দীন হোসাইন, আব্দুল হামিদ চৌধুরী।

আরো রয়েছেন: মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ মিছাবাহুল আলম, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আব্দুল আজিজ, ও আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়ামের ডিজিএম শাহরিয়ার হোসেন।

মামলার অভিযোগ:

রিলায়েবল ট্রেডিং নামে কোনো বাস্তব প্রতিষ্ঠান না থাকা সত্ত্বেও ইউসিবি কর্মকর্তারা যাচাই ছাড়াই হিসাব খোলেন এবং ভুয়া কাগজে টাইম লোন অনুমোদন করেন। পরবর্তীতে ভুয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করে ঋণের সুপারিশ পাঠানো হয়, যা প্রধান কার্যালয়ের ৪৫৪তম বোর্ড সভায় অনুমোদন পায়।

পরবর্তীতে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও কর্মচারীকে ভুয়া মালিক সাজিয়ে পুরো টাকা বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে স্থানান্তর করে পরে আরামিট সিমেন্ট ও থাই অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানির হিসাবে নিয়ে আসা হয়।

রিলায়েবল ট্রেডিং নামে কোনো বাস্তব প্রতিষ্ঠান না থাকা সত্ত্বেও ইউসিবি কর্মকর্তারা যাচাই ছাড়াই হিসাব খোলেন এবং ভুয়া কাগজে টাইম লোন অনুমোদন করেন। পরবর্তীতে ভুয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করে ঋণের সুপারিশ পাঠানো হয়, যা প্রধান কার্যালয়ের ৪৫৪তম বোর্ড সভায় অনুমোদন পায়।

পরবর্তীতে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও কর্মচারীকে ভুয়া মালিক সাজিয়ে পুরো টাকা বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে স্থানান্তর করে পরে আরামিট সিমেন্ট ও থাই অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানির হিসাবে নিয়ে আসা হয়।

 অভিযোগ ও আইন:

দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর: ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা

দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারা

উল্লেখ্য, এর আগেও ২৪ জুলাই ও ১৭ এপ্রিল একই ধরনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!

ঋণ কেলেঙ্কারিতে সাবেক মন্ত্রীসহ ২৭ জন অভিযুক্ত

আপডেট সময় : ০৬:৪১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী ও ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বজল আহমেদ বাবুল, সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আখতার মতিন, ইউনুছ আহমদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, আসিফুজ্জামান চৌ

ধুরী, রোকসানা জামান চৌধুরী, বশির আহমেদ, আফরোজা জামান, সৈয়দ কামরুজ্জামান, মো. শাহ আলম, ড. মো. জোনাইদ শফিক, ড. কনক কান্তি সেন, ড. অপরূপ চৌধুরী ও তৌহিদ সিপার রফিকজ্জামান।

এছাড়া ব্যাংকের সাবেক অফিসার ও কর্মকর্তারা: আবু হেনা মো. ফখরুল ইসলাম, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, জিয়াউল করিম খান, মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, মীর মেসবাহ উদ্দীন হোসাইন, আব্দুল হামিদ চৌধুরী।

আরো রয়েছেন: মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ মিছাবাহুল আলম, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আব্দুল আজিজ, ও আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়ামের ডিজিএম শাহরিয়ার হোসেন।

মামলার অভিযোগ:

রিলায়েবল ট্রেডিং নামে কোনো বাস্তব প্রতিষ্ঠান না থাকা সত্ত্বেও ইউসিবি কর্মকর্তারা যাচাই ছাড়াই হিসাব খোলেন এবং ভুয়া কাগজে টাইম লোন অনুমোদন করেন। পরবর্তীতে ভুয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করে ঋণের সুপারিশ পাঠানো হয়, যা প্রধান কার্যালয়ের ৪৫৪তম বোর্ড সভায় অনুমোদন পায়।

পরবর্তীতে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও কর্মচারীকে ভুয়া মালিক সাজিয়ে পুরো টাকা বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে স্থানান্তর করে পরে আরামিট সিমেন্ট ও থাই অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানির হিসাবে নিয়ে আসা হয়।

রিলায়েবল ট্রেডিং নামে কোনো বাস্তব প্রতিষ্ঠান না থাকা সত্ত্বেও ইউসিবি কর্মকর্তারা যাচাই ছাড়াই হিসাব খোলেন এবং ভুয়া কাগজে টাইম লোন অনুমোদন করেন। পরবর্তীতে ভুয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করে ঋণের সুপারিশ পাঠানো হয়, যা প্রধান কার্যালয়ের ৪৫৪তম বোর্ড সভায় অনুমোদন পায়।

পরবর্তীতে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও কর্মচারীকে ভুয়া মালিক সাজিয়ে পুরো টাকা বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে স্থানান্তর করে পরে আরামিট সিমেন্ট ও থাই অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানির হিসাবে নিয়ে আসা হয়।

 অভিযোগ ও আইন:

দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর: ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা

দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারা

উল্লেখ্য, এর আগেও ২৪ জুলাই ও ১৭ এপ্রিল একই ধরনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।