ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১১ মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনে ১২ হাজারের বেশি অভিযোগ

শালবন বার্তা ২৪.কম / এআর
  • আপডেট সময় : ১১:০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশনে। ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১১ মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মোট ১২ হাজার ৮২৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৭৬৮টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়েছে। একই সময়ে দুদক ৩৯৯টি মামলা দায়ের ও ৩২১টি মামলার চার্জশিট প্রদান করেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বাধিক ৭০ ও ৫৪টি মামলা দায়ের হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১১৪ জন ব্যবসায়ী ও ৯২ জন রাজনীতিবিদ রয়েছেন। এ সময়ে মোট ১,২৬৪ দুর্নীতিবাজ দুদকের জালে ধরা পড়েন এবং ২২৩ জনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ইস্যু করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মাসে দুই হাজার ৭৮৮ জন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১,৪৩২ জন মামলার আসামি এবং ১,৩৫৬ জন চার্জশিটভুক্ত। তাদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদও রয়েছেন।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দুদকে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা ৫,৯২৯টি। এ সময়ে ৫৩০টি অভিযোগের অনুসন্ধান, ২৫৫টি মামলা ও ১৭৫টি চার্জশিট সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় মোট ৯৮৩ জন আসামি রয়েছে, যার মধ্যে ২১১ জন সরকারি চাকরিজীবী ও ৬৮ জন রাজনীতিবিদ।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, “দুদক আইন অনুযায়ী কাজ করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অনুসন্ধান ও মামলা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হচ্ছে না।”

গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ায় দুদকের কাজের গতি বেড়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেন। তবে সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন যে, অতীতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদক গড়িমসি করেছে, অথচ এখন গণহারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বর্তমানে দুদক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপি, শীর্ষ ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এসব অভিযোগের মধ্যে অর্থ পাচার, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অপরাধ অন্তর্ভুক্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

১১ মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনে ১২ হাজারের বেশি অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১১ মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মোট ১২ হাজার ৮২৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৭৬৮টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়েছে। একই সময়ে দুদক ৩৯৯টি মামলা দায়ের ও ৩২১টি মামলার চার্জশিট প্রদান করেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বাধিক ৭০ ও ৫৪টি মামলা দায়ের হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১১৪ জন ব্যবসায়ী ও ৯২ জন রাজনীতিবিদ রয়েছেন। এ সময়ে মোট ১,২৬৪ দুর্নীতিবাজ দুদকের জালে ধরা পড়েন এবং ২২৩ জনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ইস্যু করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মাসে দুই হাজার ৭৮৮ জন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১,৪৩২ জন মামলার আসামি এবং ১,৩৫৬ জন চার্জশিটভুক্ত। তাদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদও রয়েছেন।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দুদকে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা ৫,৯২৯টি। এ সময়ে ৫৩০টি অভিযোগের অনুসন্ধান, ২৫৫টি মামলা ও ১৭৫টি চার্জশিট সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় মোট ৯৮৩ জন আসামি রয়েছে, যার মধ্যে ২১১ জন সরকারি চাকরিজীবী ও ৬৮ জন রাজনীতিবিদ।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, “দুদক আইন অনুযায়ী কাজ করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অনুসন্ধান ও মামলা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হচ্ছে না।”

গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ায় দুদকের কাজের গতি বেড়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেন। তবে সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন যে, অতীতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদক গড়িমসি করেছে, অথচ এখন গণহারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বর্তমানে দুদক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপি, শীর্ষ ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এসব অভিযোগের মধ্যে অর্থ পাচার, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অপরাধ অন্তর্ভুক্ত।