সংগীত জগতে যেন হঠাৎ করেই প্রবেশ রোকসানার। আর ঝড়ের বেগে সুযোগ হলো- বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার গানবাজ জুনিয়র সংগীত আসরে। দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীর জন্য এমন সুযোগ সোনর হরিণ। রোকসানা গানবাজ জুনিয়রে এক এক করে ৫ গুণী শিল্পীর গান কন্ঠে পরিবেশন করে আগাম জানান দিলো- সংগীত অঙ্গণকে জয়ের জন্য এগিয়ে আসছে সে। বলা হচ্ছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বাঘিল গ্রামের রোকসানর কথা।
এটিএন বাংলার ৫ মে’র গানবাজ জুনিয়রে পাড়াগাঁয়ের এ শিল্পী গান পরিবেশন করে খ্যাতি কুড়িয়েছে। এলাকায় এখন শিল্পী হিসেবে রোকসানার বেশ নাম। এলাকার যে কোন অনুষ্ঠানে তার ডাক পড়তো। এখন যেন গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক শিল্পী রুনা লায়লার ‘যখন থামবে কোলাহল, ঘুমে নিঝুম চারিদিক, লালনের ‘চাতক বাঁচে কেমনে, মেঘের বরিষণ বিনে’  শুভ্রদেবের ‘ভুলিতে পারি না তারে ভুলা যায় না,বারে বারে মনে পড়ে’ ছাড়াও তপন চৌধুরীর ‘ভুল করে যদি মনে পড়ে আমাকে’, ‘সুন্দর সন্ধ্যায় এ গান দিলাম উপহার’ এ ৫ গানে ওইদিন দর্শক মাতিয়েছে রোকসানা।
ধনবাড়ী উপজেলার ভাইঘাট গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোকসানার বাবা ফরহাদ হোসেন একজন ভ্যানরিক্সা চালক। মা -জেসমিন গৃহিনী। তিন বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। শখের বশে গান এখন তার স্বপ্নের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। পড়াশোনা ও গান সমান্তরালে চালিয়ে বড় হওয়ার স্বপ্ন তার।
রোকসানা জানায়, ‘ছোটবেলা থেকে গান ভালোবাসি। গান গাই হৃদয় থেকে, ভালোবাসার টানে । সবার কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চাই যেন ভালো কাজ করতে পারি, দেশ ও দশের স্বার্থে কিছু করতে চাই। আদর্শ  সংগীত শিল্পী হতে চাই। এমন কিছু গান করতে চাই, যে গানগুলো মানুষের হৃদয় স্পর্শ করবে।
তার গানের ওস্তাদ দীপক কর্মকার, সুজিত সরকার। অনেকটা ফ্রিতে সে গান শিখে মধুপুর শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পী হওয়ার পেছনে মা, বাবা অবদান আছে।সবচেয়ে বেশি অবদান বাবা ফরহাদের। বাবা ফরহাদ স্বপ্ন দেখেন তার মেয়ে অনেক বড় শিল্পী হবে।
জীবন চৌধুরী, ডা. জহর লাল চৌধুরী এটিএন বাংলায় রোকসানার গান শুনে মন্তব্য করেন, শিল্পী হিসেবে রোকসানা অনেক দূর যাবে।

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর