ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে বন বিভাগের মতবিনিময়

শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠায় বনবাসীদের গৃহ ও জনশুমারি শুরু

স্টাফ করেসপন্ডন্ট, শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ ২২৩ বার পড়া হয়েছে

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বন,পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সদিচ্ছায় মধুপুরের শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে শিগগির এমন তথ্য জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন। তিনি জানান, মধুপুরের বনকে বনের চেহারায় ফেরাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় বন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস সরিয়ে ফেলা হবে। শালবন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। বনবাসীদের ইচ্ছা ও পছন্দের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে গাছ লাগানো হবে। রাখা হচ্ছে বনবৃক্ষের সাথে লাভবান হওয়ার মতো সাথী চাষের সুযোগ। প্রকল্পে অংশগ্রহণ করা জনগোষ্ঠীকে ১০ বছর পর গাছের স্থানে গাছ রেখে ( না কেটে) গাছের মূল্য নির্ধারণ করে অর্থ প্রদান করবে সরকার। সরকারের লক্ষ্য হলো- দেশের ২৫ ভাগ বন রাখার।
প্রকল্প কার্যক্রমের শুরুতে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে বসবাসকারীদের গৃহ ও জন শুমারি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের এমন তথ্য দেন।
বুধবার (৯ জুলাই)বিকেলে টাঙ্গাইলের বনবিভাগের মধুপুর দোখলা রেঞ্জের রেস্ট হাউজে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ এতে সভাপতিত্ব করেন। টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন ছাড়াও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিকসহ বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এতে বক্তব্য রাখেন জরিপ পরিচালনার অ্যাপস নির্মাতা, কারিতাসের বাঁধন চিরান, সিএমসির দোখলা রেঞ্জের সভাপতি আব্দুল মোতালেব ।
ডিএফও আবু নাসের মোহসিন তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন,মধুপুর বনের ৪টি রেঞ্জে ১০টি বিটে ২০ জন জরিপ গ্রহণকারীর মাধ্যমে ১৮ মৌজায় ১০২ টি গ্রামে এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পটি চলবে ৩৬ মাস বা তিন বছর।
গৃহ জরিপ কাজটি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) থেকে। জরিপ কাজটি চলবে আগামী ৩০ কর্ম দিবস। ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। সকাল ৮ টা হতে শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ কাজে সহযোগিতা করতে তিনি গণমাধ্যমকর্মীসহ সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

মধুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে বন বিভাগের মতবিনিময়

শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠায় বনবাসীদের গৃহ ও জনশুমারি শুরু

আপডেট সময় : ০১:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বন,পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সদিচ্ছায় মধুপুরের শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে শিগগির এমন তথ্য জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন। তিনি জানান, মধুপুরের বনকে বনের চেহারায় ফেরাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় বন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস সরিয়ে ফেলা হবে। শালবন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। বনবাসীদের ইচ্ছা ও পছন্দের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে গাছ লাগানো হবে। রাখা হচ্ছে বনবৃক্ষের সাথে লাভবান হওয়ার মতো সাথী চাষের সুযোগ। প্রকল্পে অংশগ্রহণ করা জনগোষ্ঠীকে ১০ বছর পর গাছের স্থানে গাছ রেখে ( না কেটে) গাছের মূল্য নির্ধারণ করে অর্থ প্রদান করবে সরকার। সরকারের লক্ষ্য হলো- দেশের ২৫ ভাগ বন রাখার।
প্রকল্প কার্যক্রমের শুরুতে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে বসবাসকারীদের গৃহ ও জন শুমারি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের এমন তথ্য দেন।
বুধবার (৯ জুলাই)বিকেলে টাঙ্গাইলের বনবিভাগের মধুপুর দোখলা রেঞ্জের রেস্ট হাউজে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ এতে সভাপতিত্ব করেন। টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন ছাড়াও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিকসহ বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এতে বক্তব্য রাখেন জরিপ পরিচালনার অ্যাপস নির্মাতা, কারিতাসের বাঁধন চিরান, সিএমসির দোখলা রেঞ্জের সভাপতি আব্দুল মোতালেব ।
ডিএফও আবু নাসের মোহসিন তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন,মধুপুর বনের ৪টি রেঞ্জে ১০টি বিটে ২০ জন জরিপ গ্রহণকারীর মাধ্যমে ১৮ মৌজায় ১০২ টি গ্রামে এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পটি চলবে ৩৬ মাস বা তিন বছর।
গৃহ জরিপ কাজটি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) থেকে। জরিপ কাজটি চলবে আগামী ৩০ কর্ম দিবস। ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। সকাল ৮ টা হতে শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ কাজে সহযোগিতা করতে তিনি গণমাধ্যমকর্মীসহ সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর