রাশিয়া-চীন ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন ট্রাম্প

- আপডেট সময় : ১০:৪৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, চীন, রাশিয়া এবং তাদের মিত্র দেশগুলোর মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনো বৈশ্বিক হুমকি হিসেবে দেখছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে তার “ভালো সম্পর্ক” রয়েছে। তিনি আরও বলেন, চীনের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন বেশি তাদের।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন বেইজিংয়ে “ভিক্টরি ডে” সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই কুচকাওয়াজে বিশ্বনেতাদের স্বাগত জানাতে যাচ্ছেন শি জিনপিং। এই প্রদর্শনীতে চীনের সামরিক সক্ষমতাই হবে মূল আকর্ষণ। এতে অংশগ্রহণ করবেন উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমা দেশগুলোর অবজ্ঞার জবাব দিতেই সেখানে তাদের উপস্থিতি থাকছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকেই চীন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা ভারসাম্য তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু ট্রাম্প মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প এবং স্বার্থ রক্ষায় তার আরোপিত শুল্ক অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য কূটনৈতিক মূল্য দিতে হলেও তিনি প্রস্তুত।
বিবিসির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, বেইজিং এবং তার মিত্ররা কি যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী কোনো জোট গঠন করছে? জবাবে ট্রাম্প বলেন, “না। একেবারেই না। আমাদেরকে চীনের প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, “শি’র সাথে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। কিন্তু চীনকে আমাদের যতটা প্রয়োজন, তার চেয়ে অনেক বেশি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রয়োজন তাদের। আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখি না।”
মঙ্গলবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, রাশিয়া-চীন ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তার কোনো উদ্বেগ নেই। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে এবং “তারা কখনো আমাদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের কথা ভাবতেও পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্বাস করুন, এটি হবে তাদের জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ ভুল।”
তবে একই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গত মাসে আলাস্কায় তাদের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো শান্তিচুক্তি হয়নি। ট্রাম্প বলেন, “আমি পুতিনের প্রতি খুবই হতাশ। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের মানুষের জীবন রক্ষায় সবকিছু করবে।” তবে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। চীন অবশ্য পুতিনের এই আগ্রাসনের সমালোচনা করেনি। বরং পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করেছে, চীন দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী সরবরাহ এবং রুশ তেল কেনার মাধ্যমে যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে। যদিও বেইজিং এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়া নতুন করে সীমান্তের কিছু অংশে সেনা সমাবেশ করছে। রাতে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “(পুতিন) কোনোভাবেই শান্তি চুক্তিতে রাজি নন।”