ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টানলেন থারুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

কাশ্মিরে হামলা ঘিরে গত কয়েক দিনের সামরিক সংঘাতের পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে দেশটির বিরোধীদল কংগ্রেস। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরী গান্ধীর ভূমিকার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির পার্থক্য বোঝাতে ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও শেয়ার করে কংগ্রেস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কটাক্ষ করে এসব পোস্ট কংগ্রেস দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা শশী থারুর দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ১৯৭১ সালের পরিস্থিতি আর ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপট এক নয়।

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পর শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে কংগ্রেসের প্রচারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে শশী থারুর সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, ‘‘আমার দৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উত্তেজনা বাড়ার মতো এক পরিস্থিতিতে আমরা পৌঁছেছিলাম। আমাদের জন্য শান্তি দরকার। সত্যি বলতে, ১৯৭১ আর ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপট এক নয়। এখানে পার্থক্য আছে।’’

‘‘ভারতের জনগণ শান্তি চায়। আমরা অনেক ভোগান্তি সহ্য করেছি। পুঞ্চের লোকজনের কাছে জানতে চান, কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমি যুদ্ধ একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছি না। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণ থাকলে, সেটি চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এটা সেই ধরনের যুদ্ধ নয়, যেটা আমরা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা কেবল সন্ত্রাসীদের একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। সেই শিক্ষা দেওয়া হয়ে গেছে।’’

শশী থারুর বলেন, পেহেলগামে ২৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা ভারতের সরকার অব্যাহত রাখবে বলে তিনি মনে করেন। দেশটির বিরোধী দলের এই নেতা বলেন, ‘‘এটা জরুরি। আর সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার কাজ রাতারাতি হবে না। এটা করতে মাস এমনকি বছরও লাগতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতেই হবে। নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের হত্যা করে কোনও সন্ত্রাসী যেন পার না পায়। তবে এটা করতে গিয়ে আমরা পুরো দেশকে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারি না।’’

তিনি বলেন, বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংঘাতে মানুষের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না। ভারতীয় জনগণের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। আর এই পর্যায়ে পৌঁছাতে আমাদের জন্য এই মুহূর্তে শান্তিই সঠিক পথ।

কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালের বিজয় ছিল বিশাল কৃতিত্ব; যা তাকে একজন ভারতীয় হিসেবে গর্বিত করে। উপমহাদেশের মানচিত্র পুনরায় এঁকে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কারণ সেই সময়ের পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। আজকের পাকিস্তান ভিন্ন। তাদের সামরিক শক্তি, অস্ত্রশস্ত্র, ধ্বংস করার ক্ষমতা—সবকিছুই আলাদা।

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার লক্ষ্যে ভারত একটি নৈতিক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। এটা ভিন্ন গল্প। আর বর্তমানের এই সংঘাত দীর্ঘ ও প্রাণঘাতী যুদ্ধে রূপ নিতে পারতো। উভয় পক্ষেরই প্রচুর প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। এটা কি আজকের ভারতের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার? না, এটা নয়। যারা এই সন্ত্রাসীদের পাঠিয়েছে আমরা কেবল তাদের শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। তাদের এ জন্য মূল্য দিতে হবে।’’

শশী থারুর বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ভারত কখনই ৭ মের ঘটনার পর এটাকে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের শুরু হিসেবে দেখেনি। যদি পাকিস্তান উত্তেজনা না বাড়াতো, তাহলে আমরাও বাড়াতাম না। পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়িয়েছে, তাই আমরা বাড়িয়েছি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, যদি এই সংঘাত চলতে থাকতো তাহলে আমরা এক অর্থহীন দীর্ঘ যুদ্ধের মধ্যে পড়ে যেতাম। যে যুদ্ধের কোনও পরিষ্কার লক্ষ্য থাকতো না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার একটি পরিষ্কার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের দিকে কেবল গোলাবর্ষণ করে যাওয়াটা কোনও পরিষ্কার লক্ষ্য নয়। আপনরা পার্থক্যটা দেখতে পেয়েছেন।

পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। এর পাল্টায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী।

প্রায় চারদিনের হামলা-পাল্টা হামলায় চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশের মাঝে পুরোমাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার পারমাণবিক অস্ত্রধর ভারত-পাকিস্তানের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরপরই কংগ্রেস অনেক নেতা ও দলটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছবি শেয়ার করা হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশকে সহায়তা করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কংগ্রেসের এসব পোস্ট পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের দুর্বলতা বোঝাতে কটাক্ষ করে দেওয়া হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সূত্র: এনডিটিভি।

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

কাশ্মিরে হামলা ঘিরে গত কয়েক দিনের সামরিক সংঘাতের পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে দেশটির বিরোধীদল কংগ্রেস। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরী গান্ধীর ভূমিকার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির পার্থক্য বোঝাতে ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও শেয়ার করে কংগ্রেস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কটাক্ষ করে এসব পোস্ট কংগ্রেস দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা শশী থারুর দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ১৯৭১ সালের পরিস্থিতি আর ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপট এক নয়।

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পর শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে কংগ্রেসের প্রচারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে শশী থারুর সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, ‘‘আমার দৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উত্তেজনা বাড়ার মতো এক পরিস্থিতিতে আমরা পৌঁছেছিলাম। আমাদের জন্য শান্তি দরকার। সত্যি বলতে, ১৯৭১ আর ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপট এক নয়। এখানে পার্থক্য আছে।’’

‘‘ভারতের জনগণ শান্তি চায়। আমরা অনেক ভোগান্তি সহ্য করেছি। পুঞ্চের লোকজনের কাছে জানতে চান, কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমি যুদ্ধ একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছি না। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণ থাকলে, সেটি চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এটা সেই ধরনের যুদ্ধ নয়, যেটা আমরা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা কেবল সন্ত্রাসীদের একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। সেই শিক্ষা দেওয়া হয়ে গেছে।’’

শশী থারুর বলেন, পেহেলগামে ২৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা ভারতের সরকার অব্যাহত রাখবে বলে তিনি মনে করেন। দেশটির বিরোধী দলের এই নেতা বলেন, ‘‘এটা জরুরি। আর সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার কাজ রাতারাতি হবে না। এটা করতে মাস এমনকি বছরও লাগতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতেই হবে। নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের হত্যা করে কোনও সন্ত্রাসী যেন পার না পায়। তবে এটা করতে গিয়ে আমরা পুরো দেশকে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারি না।’’

তিনি বলেন, বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংঘাতে মানুষের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না। ভারতীয় জনগণের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। আর এই পর্যায়ে পৌঁছাতে আমাদের জন্য এই মুহূর্তে শান্তিই সঠিক পথ।

কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালের বিজয় ছিল বিশাল কৃতিত্ব; যা তাকে একজন ভারতীয় হিসেবে গর্বিত করে। উপমহাদেশের মানচিত্র পুনরায় এঁকে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কারণ সেই সময়ের পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। আজকের পাকিস্তান ভিন্ন। তাদের সামরিক শক্তি, অস্ত্রশস্ত্র, ধ্বংস করার ক্ষমতা—সবকিছুই আলাদা।

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার লক্ষ্যে ভারত একটি নৈতিক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। এটা ভিন্ন গল্প। আর বর্তমানের এই সংঘাত দীর্ঘ ও প্রাণঘাতী যুদ্ধে রূপ নিতে পারতো। উভয় পক্ষেরই প্রচুর প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। এটা কি আজকের ভারতের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার? না, এটা নয়। যারা এই সন্ত্রাসীদের পাঠিয়েছে আমরা কেবল তাদের শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। তাদের এ জন্য মূল্য দিতে হবে।’’

শশী থারুর বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ভারত কখনই ৭ মের ঘটনার পর এটাকে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের শুরু হিসেবে দেখেনি। যদি পাকিস্তান উত্তেজনা না বাড়াতো, তাহলে আমরাও বাড়াতাম না। পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়িয়েছে, তাই আমরা বাড়িয়েছি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, যদি এই সংঘাত চলতে থাকতো তাহলে আমরা এক অর্থহীন দীর্ঘ যুদ্ধের মধ্যে পড়ে যেতাম। যে যুদ্ধের কোনও পরিষ্কার লক্ষ্য থাকতো না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার একটি পরিষ্কার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের দিকে কেবল গোলাবর্ষণ করে যাওয়াটা কোনও পরিষ্কার লক্ষ্য নয়। আপনরা পার্থক্যটা দেখতে পেয়েছেন।

পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। এর পাল্টায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী।

প্রায় চারদিনের হামলা-পাল্টা হামলায় চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশের মাঝে পুরোমাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার পারমাণবিক অস্ত্রধর ভারত-পাকিস্তানের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরপরই কংগ্রেস অনেক নেতা ও দলটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছবি শেয়ার করা হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশকে সহায়তা করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কংগ্রেসের এসব পোস্ট পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের দুর্বলতা বোঝাতে কটাক্ষ করে দেওয়া হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সূত্র: এনডিটিভি।

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

shalbonbarta24.com

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

পাকিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টানলেন থারুর

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

কাশ্মিরে হামলা ঘিরে গত কয়েক দিনের সামরিক সংঘাতের পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে দেশটির বিরোধীদল কংগ্রেস। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরী গান্ধীর ভূমিকার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির পার্থক্য বোঝাতে ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও শেয়ার করে কংগ্রেস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কটাক্ষ করে এসব পোস্ট কংগ্রেস দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা শশী থারুর দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ১৯৭১ সালের পরিস্থিতি আর ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপট এক নয়।

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পর শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে কংগ্রেসের প্রচারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে শশী থারুর সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, ‘‘আমার দৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উত্তেজনা বাড়ার মতো এক পরিস্থিতিতে আমরা পৌঁছেছিলাম। আমাদের জন্য শান্তি দরকার। সত্যি বলতে, ১৯৭১ আর ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপট এক নয়। এখানে পার্থক্য আছে।’’

‘‘ভারতের জনগণ শান্তি চায়। আমরা অনেক ভোগান্তি সহ্য করেছি। পুঞ্চের লোকজনের কাছে জানতে চান, কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমি যুদ্ধ একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছি না। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণ থাকলে, সেটি চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এটা সেই ধরনের যুদ্ধ নয়, যেটা আমরা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা কেবল সন্ত্রাসীদের একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। সেই শিক্ষা দেওয়া হয়ে গেছে।’’

শশী থারুর বলেন, পেহেলগামে ২৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা ভারতের সরকার অব্যাহত রাখবে বলে তিনি মনে করেন। দেশটির বিরোধী দলের এই নেতা বলেন, ‘‘এটা জরুরি। আর সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার কাজ রাতারাতি হবে না। এটা করতে মাস এমনকি বছরও লাগতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতেই হবে। নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের হত্যা করে কোনও সন্ত্রাসী যেন পার না পায়। তবে এটা করতে গিয়ে আমরা পুরো দেশকে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারি না।’’

তিনি বলেন, বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংঘাতে মানুষের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না। ভারতীয় জনগণের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। আর এই পর্যায়ে পৌঁছাতে আমাদের জন্য এই মুহূর্তে শান্তিই সঠিক পথ।

কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালের বিজয় ছিল বিশাল কৃতিত্ব; যা তাকে একজন ভারতীয় হিসেবে গর্বিত করে। উপমহাদেশের মানচিত্র পুনরায় এঁকে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কারণ সেই সময়ের পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। আজকের পাকিস্তান ভিন্ন। তাদের সামরিক শক্তি, অস্ত্রশস্ত্র, ধ্বংস করার ক্ষমতা—সবকিছুই আলাদা।

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার লক্ষ্যে ভারত একটি নৈতিক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। এটা ভিন্ন গল্প। আর বর্তমানের এই সংঘাত দীর্ঘ ও প্রাণঘাতী যুদ্ধে রূপ নিতে পারতো। উভয় পক্ষেরই প্রচুর প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। এটা কি আজকের ভারতের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার? না, এটা নয়। যারা এই সন্ত্রাসীদের পাঠিয়েছে আমরা কেবল তাদের শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। তাদের এ জন্য মূল্য দিতে হবে।’’

শশী থারুর বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ভারত কখনই ৭ মের ঘটনার পর এটাকে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের শুরু হিসেবে দেখেনি। যদি পাকিস্তান উত্তেজনা না বাড়াতো, তাহলে আমরাও বাড়াতাম না। পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়িয়েছে, তাই আমরা বাড়িয়েছি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, যদি এই সংঘাত চলতে থাকতো তাহলে আমরা এক অর্থহীন দীর্ঘ যুদ্ধের মধ্যে পড়ে যেতাম। যে যুদ্ধের কোনও পরিষ্কার লক্ষ্য থাকতো না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার একটি পরিষ্কার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের দিকে কেবল গোলাবর্ষণ করে যাওয়াটা কোনও পরিষ্কার লক্ষ্য নয়। আপনরা পার্থক্যটা দেখতে পেয়েছেন।

পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। এর পাল্টায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী।

প্রায় চারদিনের হামলা-পাল্টা হামলায় চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশের মাঝে পুরোমাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার পারমাণবিক অস্ত্রধর ভারত-পাকিস্তানের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরপরই কংগ্রেস অনেক নেতা ও দলটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছবি শেয়ার করা হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশকে সহায়তা করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কংগ্রেসের এসব পোস্ট পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের দুর্বলতা বোঝাতে কটাক্ষ করে দেওয়া হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সূত্র: এনডিটিভি।

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

কাশ্মিরে হামলা ঘিরে গত কয়েক দিনের সামরিক সংঘাতের পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে দেশটির বিরোধীদল কংগ্রেস। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরী গান্ধীর ভূমিকার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির পার্থক্য বোঝাতে ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও শেয়ার করে কংগ্রেস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কটাক্ষ করে এসব পোস্ট কংগ্রেস দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা শশী থারুর দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ১৯৭১ সালের পরিস্থিতি আর ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপট এক নয়।

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পর শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে কংগ্রেসের প্রচারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে শশী থারুর সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, ‘‘আমার দৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উত্তেজনা বাড়ার মতো এক পরিস্থিতিতে আমরা পৌঁছেছিলাম। আমাদের জন্য শান্তি দরকার। সত্যি বলতে, ১৯৭১ আর ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপট এক নয়। এখানে পার্থক্য আছে।’’

‘‘ভারতের জনগণ শান্তি চায়। আমরা অনেক ভোগান্তি সহ্য করেছি। পুঞ্চের লোকজনের কাছে জানতে চান, কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমি যুদ্ধ একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছি না। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণ থাকলে, সেটি চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এটা সেই ধরনের যুদ্ধ নয়, যেটা আমরা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা কেবল সন্ত্রাসীদের একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। সেই শিক্ষা দেওয়া হয়ে গেছে।’’

শশী থারুর বলেন, পেহেলগামে ২৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা ভারতের সরকার অব্যাহত রাখবে বলে তিনি মনে করেন। দেশটির বিরোধী দলের এই নেতা বলেন, ‘‘এটা জরুরি। আর সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার কাজ রাতারাতি হবে না। এটা করতে মাস এমনকি বছরও লাগতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতেই হবে। নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের হত্যা করে কোনও সন্ত্রাসী যেন পার না পায়। তবে এটা করতে গিয়ে আমরা পুরো দেশকে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারি না।’’

তিনি বলেন, বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংঘাতে মানুষের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না। ভারতীয় জনগণের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। আর এই পর্যায়ে পৌঁছাতে আমাদের জন্য এই মুহূর্তে শান্তিই সঠিক পথ।

কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালের বিজয় ছিল বিশাল কৃতিত্ব; যা তাকে একজন ভারতীয় হিসেবে গর্বিত করে। উপমহাদেশের মানচিত্র পুনরায় এঁকে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কারণ সেই সময়ের পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। আজকের পাকিস্তান ভিন্ন। তাদের সামরিক শক্তি, অস্ত্রশস্ত্র, ধ্বংস করার ক্ষমতা—সবকিছুই আলাদা।

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার লক্ষ্যে ভারত একটি নৈতিক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। এটা ভিন্ন গল্প। আর বর্তমানের এই সংঘাত দীর্ঘ ও প্রাণঘাতী যুদ্ধে রূপ নিতে পারতো। উভয় পক্ষেরই প্রচুর প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। এটা কি আজকের ভারতের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার? না, এটা নয়। যারা এই সন্ত্রাসীদের পাঠিয়েছে আমরা কেবল তাদের শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। তাদের এ জন্য মূল্য দিতে হবে।’’

শশী থারুর বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ভারত কখনই ৭ মের ঘটনার পর এটাকে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের শুরু হিসেবে দেখেনি। যদি পাকিস্তান উত্তেজনা না বাড়াতো, তাহলে আমরাও বাড়াতাম না। পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়িয়েছে, তাই আমরা বাড়িয়েছি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, যদি এই সংঘাত চলতে থাকতো তাহলে আমরা এক অর্থহীন দীর্ঘ যুদ্ধের মধ্যে পড়ে যেতাম। যে যুদ্ধের কোনও পরিষ্কার লক্ষ্য থাকতো না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার একটি পরিষ্কার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের দিকে কেবল গোলাবর্ষণ করে যাওয়াটা কোনও পরিষ্কার লক্ষ্য নয়। আপনরা পার্থক্যটা দেখতে পেয়েছেন।

পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। এর পাল্টায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী।

প্রায় চারদিনের হামলা-পাল্টা হামলায় চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশের মাঝে পুরোমাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার পারমাণবিক অস্ত্রধর ভারত-পাকিস্তানের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরপরই কংগ্রেস অনেক নেতা ও দলটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছবি শেয়ার করা হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশকে সহায়তা করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কংগ্রেসের এসব পোস্ট পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের দুর্বলতা বোঝাতে কটাক্ষ করে দেওয়া হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সূত্র: এনডিটিভি।

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

shalbonbarta24.com