ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার কারখানায় ডাকাতি

মধুপুর থেকে ডাকাতি হওয়া মালামাল আশুলিয়ায় উদ্ধার, ৯ ডাকাত আটক

মধুপুর করেসপন্ডেন্ট শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের টাঙ্গাইলের মধুপুরস্থ কারখানায় ডাকাতির ঘটনার ১০ দিন পর আশুলিয়া থেকে মালামাল উদ্ধারসহ জড়িত ৯ ব্যক্তিকে আটক করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার ১৩ মে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকার জনৈক মামুনের ভাঙ্গারীর দোকানে অভিযান চালিয়ে এই মালামাল উদ্ধার ও এ ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে আটক করে অভিযানিক টিম।
এর আগে গত ৩ মে রাত আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার মহিষমারা গ্রামের আনাম গ্রীণ ফুয়েল এনার্জি রিসোর্স ফ্যাক্টারিতে দূর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ক্লুলেস এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফকির মাহবুব আনামের কারখানার সিউিরিটি ইনচার্জ তাজুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জন ডাকাত দল ফ্যাক্টরির বাউন্ডারি টপকিয়ে দরজার তালা কেটে ভিভরে প্রবেশ করে । নিরাপত্তা কাজে থাকা দুই গার্ডকে বেধে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতদল ফ্যাক্টরির ১৫.৩১,৯৭৫ টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে চলে যায়। মধুপুর থানায় দায়ের করা এমন এজাহারে মামলা হয়। মামলা নং-০৩, তারিখ-০৩/০৫/২০২৫খ্রি, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড । মামলাটির তদন্ত দেয়া হয় এসআই(নিয়স্ত্র) মো.আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়াকে।

বুধবার বিকেলে মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘটনার আদ্যোপান্ত গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ঘটনার পরই টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মধুপুর থানার ওসি, ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদের মাধ্যমে পুলিশের বিশেষ টিম গঠিত হয়। টিম সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, লোকেশন ট্র্যাকিং, স্থানীয় সোর্স এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান শুরু করে। প্রাথমিক প্রাপ্ত তথ্যে সনাক্তকৃত ডাকাতদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ১৩ মে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত কাজল ড্রাইভার (৪৫) নামের একজনকে প্রথমে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যে পরে মামুন মেকার (২৮), সুরুজ আলী(৩৫), মাসুদ (৩৩), নাঈম (২৫), রাসেল (৩০), রাসেদুল (জন্টু) (৩৩)কে একে একে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া লুষ্ঠিত মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত নান্নু (৫৫) এবং বেলাল (২৮) কে গ্রেফতার করা। আশুলিয়া থানার বলিভদ্র এলাকার মামুননের ভাঙ্গারী দোকান থেকে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার হয়। এমরানুল কবির জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীগণ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। আটকদের আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার কারখানায় ডাকাতি

মধুপুর থেকে ডাকাতি হওয়া মালামাল আশুলিয়ায় উদ্ধার, ৯ ডাকাত আটক

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের টাঙ্গাইলের মধুপুরস্থ কারখানায় ডাকাতির ঘটনার ১০ দিন পর আশুলিয়া থেকে মালামাল উদ্ধারসহ জড়িত ৯ ব্যক্তিকে আটক করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার ১৩ মে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকার জনৈক মামুনের ভাঙ্গারীর দোকানে অভিযান চালিয়ে এই মালামাল উদ্ধার ও এ ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে আটক করে অভিযানিক টিম।
এর আগে গত ৩ মে রাত আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার মহিষমারা গ্রামের আনাম গ্রীণ ফুয়েল এনার্জি রিসোর্স ফ্যাক্টারিতে দূর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ক্লুলেস এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফকির মাহবুব আনামের কারখানার সিউিরিটি ইনচার্জ তাজুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জন ডাকাত দল ফ্যাক্টরির বাউন্ডারি টপকিয়ে দরজার তালা কেটে ভিভরে প্রবেশ করে । নিরাপত্তা কাজে থাকা দুই গার্ডকে বেধে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতদল ফ্যাক্টরির ১৫.৩১,৯৭৫ টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে চলে যায়। মধুপুর থানায় দায়ের করা এমন এজাহারে মামলা হয়। মামলা নং-০৩, তারিখ-০৩/০৫/২০২৫খ্রি, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড । মামলাটির তদন্ত দেয়া হয় এসআই(নিয়স্ত্র) মো.আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়াকে।

বুধবার বিকেলে মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘটনার আদ্যোপান্ত গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ঘটনার পরই টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মধুপুর থানার ওসি, ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদের মাধ্যমে পুলিশের বিশেষ টিম গঠিত হয়। টিম সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, লোকেশন ট্র্যাকিং, স্থানীয় সোর্স এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান শুরু করে। প্রাথমিক প্রাপ্ত তথ্যে সনাক্তকৃত ডাকাতদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ১৩ মে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত কাজল ড্রাইভার (৪৫) নামের একজনকে প্রথমে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যে পরে মামুন মেকার (২৮), সুরুজ আলী(৩৫), মাসুদ (৩৩), নাঈম (২৫), রাসেল (৩০), রাসেদুল (জন্টু) (৩৩)কে একে একে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া লুষ্ঠিত মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত নান্নু (৫৫) এবং বেলাল (২৮) কে গ্রেফতার করা। আশুলিয়া থানার বলিভদ্র এলাকার মামুননের ভাঙ্গারী দোকান থেকে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার হয়। এমরানুল কবির জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীগণ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। আটকদের আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর