ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেক্ষাগৃহে আসছে মধুপুরের সবুজ খানের ‘বেহুলা দরদী’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৫২ বার পড়া হয়েছে

আগামী ৩১ অক্টোবর সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘বেহুলা দরদী’। টাঙ্গাইল অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতি ও বেহুলা নাচারি গীতিনাট্যকে কেন্দ্র করে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সবুজ খান। উৎসব অরিজিনালসের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জাহিদুল ইসলাম। টাঙ্গাইলসহ আশেপাশে কয়েকটি জেলাতে একসময় বেহুলা ও লক্ষ্মীন্দরের কাহিনীকে কেন্দ্র করে গীতিনাট্য বেহুলা নাচারি পালা গ্রামে-গঞ্জে প্রদর্শিত হতো। এমন একটি দলের সদস্যদের জীবনের গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সিনেমাটি কোনো কর্তন ছাড়াই ইউ গ্রেড সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে বলে জানা যায়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান উৎসব অরিজিনালস।

সেন্সর বোর্ড থেকে ইউ গ্রেড পাওয়া মানে ছবিটি কোনো বয়স সীমাবদ্ধতা ছাড়াই পারিবারিক দর্শকদের জন্য উপযোগী।

মো. জাহিদুল ইসলামের প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করছেন সবুজ খান। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু।

সিনেমাটি প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বাবু বলেন, “বেহুলা দরদী টাঙ্গাইল অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতির গল্পে নির্মিত একটি সিনেমা। সবুজের খানের পরিচালনায় খুব দারুণ একটি কাজ হয়েছে। সব থেকে বড় কথা, আমরা কাজটি করেছি একটি দায়বদ্ধতা থেকে। কারণ আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরাটা সত্যি আনন্দের।”

নির্মাতা সবুজ খান বলেন, ”টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর অঞ্চলে এক সময় বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের কাহিনী নিয়ে বেহুলা নাচারি (গীতিনাট্য) খুব জনপ্রিয় ছিল। কালের বিবর্তনে এখন এই সংস্কৃতিটা প্রায় বিলুপ্ত। তাই এমন গল্প আমাদের সিনেমার জন্য বেছে নিয়েছি, যেটা আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে বিকশিত করবে বলে আশা করি। আর এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র, দর্শক সিনেমাটি ভালোভাবে গ্রহণ করলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।”

সিনেমাটির প্রযোজক জাহিদুল ইসলাম বলেন, “সিনেমাটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়ে আমরা সত্যি ভীষণ আনন্দিত। খুব শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলছে। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বেহুলা দরদী প্রদর্শিত হবে।”

সিনেমার গল্পে দেখা যাবে নাগবাড়ি বেহুলা নাচারি দলের প্রধান ভোলা মিয়া তাদের নাচারি গানের দলটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন। পরপর কয়েকবার ইউনিয়নভিত্তিক প্রতিযোগিতায় হেরে দলটির সম্মান প্রায় তলানিতে। এই অবস্থায় দলটিকে প্রতিযোগিতায় জেতাতে চলবে নানা চেষ্টা। আর এভাবে এগিয়ে যাবে সিনেমার গল্প।

বেহুলা দরদী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রাণ রায়, সূচনা সিকদার, মীম, আশরাফুল আশীষ, আফফান মিতুল, আঁখি, সেলজুক, আলগীর হেসেন, শেখ মেরাজুল ইসলাম, রেশমি, সানজিদা মিলা, হাসিমুন, স্নিগ্ধা হোসেইন, ইমরান হাসো, নয়ন আহমেদ কাজলসহ মধুপুরের একঝাঁক অভিনয় শিল্পী

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!

প্রেক্ষাগৃহে আসছে মধুপুরের সবুজ খানের ‘বেহুলা দরদী’

আপডেট সময় : ০৩:২২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

আগামী ৩১ অক্টোবর সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘বেহুলা দরদী’। টাঙ্গাইল অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতি ও বেহুলা নাচারি গীতিনাট্যকে কেন্দ্র করে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সবুজ খান। উৎসব অরিজিনালসের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জাহিদুল ইসলাম। টাঙ্গাইলসহ আশেপাশে কয়েকটি জেলাতে একসময় বেহুলা ও লক্ষ্মীন্দরের কাহিনীকে কেন্দ্র করে গীতিনাট্য বেহুলা নাচারি পালা গ্রামে-গঞ্জে প্রদর্শিত হতো। এমন একটি দলের সদস্যদের জীবনের গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সিনেমাটি কোনো কর্তন ছাড়াই ইউ গ্রেড সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে বলে জানা যায়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান উৎসব অরিজিনালস।

সেন্সর বোর্ড থেকে ইউ গ্রেড পাওয়া মানে ছবিটি কোনো বয়স সীমাবদ্ধতা ছাড়াই পারিবারিক দর্শকদের জন্য উপযোগী।

মো. জাহিদুল ইসলামের প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করছেন সবুজ খান। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু।

সিনেমাটি প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বাবু বলেন, “বেহুলা দরদী টাঙ্গাইল অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতির গল্পে নির্মিত একটি সিনেমা। সবুজের খানের পরিচালনায় খুব দারুণ একটি কাজ হয়েছে। সব থেকে বড় কথা, আমরা কাজটি করেছি একটি দায়বদ্ধতা থেকে। কারণ আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরাটা সত্যি আনন্দের।”

নির্মাতা সবুজ খান বলেন, ”টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর অঞ্চলে এক সময় বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের কাহিনী নিয়ে বেহুলা নাচারি (গীতিনাট্য) খুব জনপ্রিয় ছিল। কালের বিবর্তনে এখন এই সংস্কৃতিটা প্রায় বিলুপ্ত। তাই এমন গল্প আমাদের সিনেমার জন্য বেছে নিয়েছি, যেটা আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে বিকশিত করবে বলে আশা করি। আর এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র, দর্শক সিনেমাটি ভালোভাবে গ্রহণ করলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।”

সিনেমাটির প্রযোজক জাহিদুল ইসলাম বলেন, “সিনেমাটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়ে আমরা সত্যি ভীষণ আনন্দিত। খুব শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলছে। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বেহুলা দরদী প্রদর্শিত হবে।”

সিনেমার গল্পে দেখা যাবে নাগবাড়ি বেহুলা নাচারি দলের প্রধান ভোলা মিয়া তাদের নাচারি গানের দলটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন। পরপর কয়েকবার ইউনিয়নভিত্তিক প্রতিযোগিতায় হেরে দলটির সম্মান প্রায় তলানিতে। এই অবস্থায় দলটিকে প্রতিযোগিতায় জেতাতে চলবে নানা চেষ্টা। আর এভাবে এগিয়ে যাবে সিনেমার গল্প।

বেহুলা দরদী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রাণ রায়, সূচনা সিকদার, মীম, আশরাফুল আশীষ, আফফান মিতুল, আঁখি, সেলজুক, আলগীর হেসেন, শেখ মেরাজুল ইসলাম, রেশমি, সানজিদা মিলা, হাসিমুন, স্নিগ্ধা হোসেইন, ইমরান হাসো, নয়ন আহমেদ কাজলসহ মধুপুরের একঝাঁক অভিনয় শিল্পী