জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া জরুরী
- আপডেট সময় : ০৫:২৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ২৯৪ বার পড়া হয়েছে

প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাকে ব্যাকরাউন্ড ধরে জাতি গঠনে উদ্যোগী হওয়া জরুরী মন্তব্য করে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন বলেছেন, শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। সেই শিশুকে গড়ে তোলা খুব গুরত্বপূর্ণ। জাতির সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে এই শিশুদের প্রতি যত্নশীল হওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। আর এ দায়িত্ব যথাযথ পালনের মাধ্যমে জাতি গঠিত হলে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব অনেকাংশে কমে যেতো।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বন অধ্যুষিত অরণখোলা ইউনিয়নের ভুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিনি শিশুপার্কের উদ্বোধনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.জোবায়ের হোসেন এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন,শিশুরা আনন্দের মধ্য দিয়েই সবচেয়ে বেশি শিখে ও বেড়ে ওঠে। উন্নত দেশের মডেলে তাই প্রান্তিক এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের লেখাপড়ায় আগ্রহী করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। “বিশ্বকে বদলে দিতে, বিকশিত হই আনন্দের সাথে” এই প্রতিপাদ্যে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক শরীফা হকের নির্দেশনায় এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গৃহিত হয়েছে। জেলার ১২ টি উপজেলার ১৬০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬০-টি প্লে গ্রাউন্ড তৈরি হচ্ছে। মধুপুরের ১৫ টি প্রাথমিকে এমন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। তার প্রথম ভুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে আরও আকর্ষণীয় ও শিক্ষাবান্ধব করে তুলতে “মিনি শিশুপার্ক” বা “প্লে গ্রাউন্ড” এ থাকছে দোলনা, স্লাইড (স্লিপার), ব্যালেন্সার, বাস্কেটবল সেট, প্রজাপতি আকৃতির ফটো ফ্রেম, রোপ ল্যাডার এবং বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত একটি মনোমুগ্ধকর দেয়ালচিত্র (ম্যুরাল)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধুপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজীব আল রানা, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, আইসিটি কর্মকর্তা আব্রারুর খানশিমুল, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, ভুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এপ্রিল পল মৃ এবং ভুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পিয়ারা বেগমসহ অন্যান্য শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।
উদ্বোধন উপলক্ষে স্কুল প্রাঙ্গণে শিশুদের উচ্ছ্বাস, হাসি আর আনন্দে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শিশুদের নির্ভেজাল আনন্দ উপভোগ করতে দেখে উপস্থিত অতিথি, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়রা উদ্বেলিত হয়েছেন। তারা জেলা প্রশাসক শরীফা হকের প্রশংসা করেস। বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলার প্রান্তিক এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি, উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও আনন্দময় শিক্ষা পরিবেশ তৈরির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।















