ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গান, কবিতা আর আলোচনায় মধুপুর স্বজনের মা দিবস পালন

মধুপুর করেসপন্ডেন্ট শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫ ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

মায়ের মতো আপন কেহ নাই এবং ‘মা জননী আজও বেঁচে আছেন যাদের ঘরে, আমার এ গান এই দুনিয়ার সেই সন্তানদের তরে’ বিখ্যাত এ দুই গান পরিবেশনা ছিল অতিথি শিল্পী তুনশ্রী দত্তের কন্ঠে। স্বজন সদস্য খন্দকার বদিউজ্জামান বুলবুলের ‘ভালাবাসি মা’ শিরোনামের স্বরচিত কবিতা দিয়ে শুরু হয়েছিল ‘মা’ কে নিয়ে কবিতার আসর। আসরে ‘মা আমার মা’ কবিতা আবৃত্তি করেছে স্কাউটার ও স্বজন সদস্য আশরাফুল ইসলাম মারুফ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘মা’ কবিতার আবৃত্তি শুনিয়েছে স্বজন আফজাল। স্বজন বোন তাসফিয়ার আবৃত্তি ‘মা আমার প্রিয় ঈশ্বরী ’ তে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। আবৃত্তিতে অংশ নিয়ে ছিল মধুপুর স্বজনের আহবায়ক হুমায়ুন কবিরও। মা নিয়ে আলোচনা, গল্প, আড্ডাও ছিল কর্মসূচিতে।

আন্তর্জাতিক মা দিবসে রোববার যুগান্তর পত্রিকার পাঠক সংগঠন স্বজন সমাবেশ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা শাখার ছিল এমন কর্মসূচি। দুপুরে মধুপুর পৌর শহরের ময়মনসিংহ সড়কস্থ লিউ সাকি প্লাজার আন্ডার গ্রাউন্ডের কফি‘র আড্ডায় মা দিবসের এমন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আহবায়ক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মধুপুর স্বজন সমাবেশের আয়োজনে আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে ছিলেন যুগান্তরের মধুপুর -ধনবাড়ী প্রতিনিধি এস.এম শহীদ,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও গানের ওস্তাদ দীপক কর্মকার, ওস্তাদ সুজিত সরকার, সাইফুল ইসলাম ফারুক, শালবনবার্তা২৪.কমের সাংবাদিক আরশেদ আলম। মা কে নিয়ে তারা অনুূভূতি প্রকাশ করে  বক্তৃতা করেন। বক্তৃতা করেন স্বজন সদস্য ও সোস্যাল এক্টিভিস্ট বদিউজ্জামান বুলবুল।

বক্তাগণ বলেন, পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্র অথচ বিরাট অর্থের প্রিয় শব্দ “মা”। প্রতিটি সন্তানের জন্য ভালোবাসা ও স্নেহের আধার হল এই মা। শুধু মা দিবসে নয়, প্রতিটি দিন হবে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার দিন। এই মায়েরা শেষ বয়সে সন্তানের যতেœর আশ্রয়ে থাকবেন এমনটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই মাকে না চেনে না জেনে মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার দৃষ্টান্ত সমাজে তৈরি হচ্ছে। যা সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম নজির। ওই সন্তানরা সমাজের অত্যন্ত দুর্ভাগা। আর এই দুর্ভাগারাই করোনার সময়ে মাকে বনে ফেলে আসার ঘটনা ঘটায়, গোয়াল ঘরে মায়ের থাকার ব্যবস্থা রাখে। এ সব খারাপ দৃষ্টান্ত সমাজে যাতে না ঘটে আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে তার প্রতিরোধী দায়িত্ব পালন করতে হবে।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!

গান, কবিতা আর আলোচনায় মধুপুর স্বজনের মা দিবস পালন

আপডেট সময় : ১০:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

মায়ের মতো আপন কেহ নাই এবং ‘মা জননী আজও বেঁচে আছেন যাদের ঘরে, আমার এ গান এই দুনিয়ার সেই সন্তানদের তরে’ বিখ্যাত এ দুই গান পরিবেশনা ছিল অতিথি শিল্পী তুনশ্রী দত্তের কন্ঠে। স্বজন সদস্য খন্দকার বদিউজ্জামান বুলবুলের ‘ভালাবাসি মা’ শিরোনামের স্বরচিত কবিতা দিয়ে শুরু হয়েছিল ‘মা’ কে নিয়ে কবিতার আসর। আসরে ‘মা আমার মা’ কবিতা আবৃত্তি করেছে স্কাউটার ও স্বজন সদস্য আশরাফুল ইসলাম মারুফ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘মা’ কবিতার আবৃত্তি শুনিয়েছে স্বজন আফজাল। স্বজন বোন তাসফিয়ার আবৃত্তি ‘মা আমার প্রিয় ঈশ্বরী ’ তে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। আবৃত্তিতে অংশ নিয়ে ছিল মধুপুর স্বজনের আহবায়ক হুমায়ুন কবিরও। মা নিয়ে আলোচনা, গল্প, আড্ডাও ছিল কর্মসূচিতে।

আন্তর্জাতিক মা দিবসে রোববার যুগান্তর পত্রিকার পাঠক সংগঠন স্বজন সমাবেশ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা শাখার ছিল এমন কর্মসূচি। দুপুরে মধুপুর পৌর শহরের ময়মনসিংহ সড়কস্থ লিউ সাকি প্লাজার আন্ডার গ্রাউন্ডের কফি‘র আড্ডায় মা দিবসের এমন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আহবায়ক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মধুপুর স্বজন সমাবেশের আয়োজনে আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে ছিলেন যুগান্তরের মধুপুর -ধনবাড়ী প্রতিনিধি এস.এম শহীদ,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও গানের ওস্তাদ দীপক কর্মকার, ওস্তাদ সুজিত সরকার, সাইফুল ইসলাম ফারুক, শালবনবার্তা২৪.কমের সাংবাদিক আরশেদ আলম। মা কে নিয়ে তারা অনুূভূতি প্রকাশ করে  বক্তৃতা করেন। বক্তৃতা করেন স্বজন সদস্য ও সোস্যাল এক্টিভিস্ট বদিউজ্জামান বুলবুল।

বক্তাগণ বলেন, পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্র অথচ বিরাট অর্থের প্রিয় শব্দ “মা”। প্রতিটি সন্তানের জন্য ভালোবাসা ও স্নেহের আধার হল এই মা। শুধু মা দিবসে নয়, প্রতিটি দিন হবে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার দিন। এই মায়েরা শেষ বয়সে সন্তানের যতেœর আশ্রয়ে থাকবেন এমনটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই মাকে না চেনে না জেনে মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার দৃষ্টান্ত সমাজে তৈরি হচ্ছে। যা সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম নজির। ওই সন্তানরা সমাজের অত্যন্ত দুর্ভাগা। আর এই দুর্ভাগারাই করোনার সময়ে মাকে বনে ফেলে আসার ঘটনা ঘটায়, গোয়াল ঘরে মায়ের থাকার ব্যবস্থা রাখে। এ সব খারাপ দৃষ্টান্ত সমাজে যাতে না ঘটে আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে তার প্রতিরোধী দায়িত্ব পালন করতে হবে।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর